শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবসের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান শিক্ষিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (২৫ ও ২৬ আগস্ট) কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকায় “রাজশাহীতে শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করালেন প্রধান শিক্ষিকা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পবা উপজেলার হাড়ুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসী। শুক্রবার পদ্মাটাইমসসহ গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন প্রকাশিত সংবাদে ভুল তথ্য পরিবেশন করে আমার মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষিকা নাজমা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস আমার অনুমতি না নিয়ে অন্য এক নারীর দেহের সঙ্গে আমার মুখমন্ডল লাগিয়ে একটি টিকটক ভিডিও তৈরি করে তার ফেসবুকে ছাড়ে। ভিডিওতে মেয়েটিকে নাচতে দেখা যাচ্ছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে একজন পুরুষ মানুষ কথা বলছেন। ভিডিওটি সহকারী শিক্ষিকা তার নিজের ফেসবুকের স্টোরিতে দেন।
তিনি বলেন, ‘জান্নাতুল ফেরদৌস যা করেছেন তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আওতায় পড়ে। সেই সাথে এমন অশালীন কর্মকান্ড যা তথ্য আইন ও সরকারী চাকুরীবিধি পরিপন্থী।’
তিনি আরও বলেন, ‘সহকারি শিক্ষিকাকে কেউ কান ধরে ওঠবস করাননি। তার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সহকারী শিক্ষিকা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ছবি এডিট করে টিকটক করে তার নিজের ফোনে মাইডে পোস্ট করে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি তিন দিনের ছুটিতে ছিলাম। গত ২৪ আগস্ট ছুটি শেষে স্কুলে যোগদানের পরে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হই এবং তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ করি। সেই দিন তাকে অফিসে সবার উপস্থিতিতে ডেকে পাঠালে শিক্ষিকা নিজের দোষ স্বীকার করে নিজের কানে হাত দিয়ে বলেন, এটা আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল, আমি মোবাইল চালাতে অদক্ষ। আগামীতে এমন ঘটনা আর হবে না। আমি এই সকল বিষয়ে সাবধান থাকবো। এসময় উনার ব্যবহারকৃত ফোনটি তার কাছে থেকে চাওয়া হয় যে, তার ফেসবুক থেকে পোস্ট গুলি রিমুভ করার জন্য।
‘আর তাতেই বাধে বিপত্তি। তিনি ফোনটা দিলেও আনলক করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কারণ তার ফোনে প্যাটার্ন লক করা ছিলো। এসময় তার ফোনটি স্থানীয় মেম্বার মুশফিকুর রহমান রাসেলের কাছে জমা রাখতে বলেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। তার ফোনটি এখনও মেম্বারের কাছেই জমা রয়েছে।’