সার সঙ্কটে ব্যহত হবে উৎপাদন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২২; সময়: ১০:২২ অপরাহ্ণ |
খবর > মতামত
সার সঙ্কটে ব্যহত হবে উৎপাদন

সরকার দুলাল মাহবুব : পল্লির প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন চায়ের আড্ডা বসে। চাষিরাও সকাল-সন্ধ্যায় এসব আড্ডায় শরিক হন। উঠে তাদের ঘর-গৃহস্থালীর কথাও। ফসলের কথা, বেচা-বিক্রির কথা। ফসল তোলা লাগানোর কথাও।

অবশ্য ‘চায়ের স্টলের সব কথা ধরতে নেই। কারণ চায়ের স্টলে আষাঢ়ে গল্পও কম হয় না। আবার জীবন ও সমস্যা নিয়েও তারা কথা বলেন, দেশ-দশের কথাও আলোচনা করেন। সম্প্রতি চায়ের স্টলে সারের ঘাটতি ও পাওয়া না-পাওয়া নিয়েও কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টা সমকালীন সংকটও বটে।

কিছুদিন ধরে রাজশাহীর বাজারে এমওপি (পটাশ) সার পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি অন্যান্য সারের দামও বেশি। লেখালেখির পেশায় জড়িত বলে অনেকে বিদ্রুপ করেও আমাকে বলেন, আমরা কেন তাদের নিয়ে কিছু লিখছি না। তারা কষ্টের কথা জানিয়ে বলেন, সরকার ইউরিয়া সারের দাম বাড়িয়েছে।

কিন্তু ডিএপি সারও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আর এমওপি পাচ্ছিই না। অথচ কৃষিমন্ত্রী বলছেন সারের ঘাটতি নেই। সত্যিই যদি ঘাটতি না থাকে তবে পটাশ সার পাচ্ছি না কেন? আবার পেলেও সাড়ে ৭শ’ টাকা বস্তার সারে দাম নিচ্ছে ১৫শ’ টাকা’। বেশী নিলে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থাও তো নেওয়া হচ্ছে না।

রাজশাহীর কৃষি অধ্যুষিত এলাকায় আমার জন্ম। তাই কৃষকের সুখ-দুঃখের ভাগিদারও আমি। তাদের হাঁসি-কান্না আমার চিরচেনা। বাপ-দাদার শরীরে কাদামাটির গন্ধ শুঁকেছি। নিজেও চাষ করছি। কিন্তু কৃষক হিসাবে লাভের মুখ দেখতে পাই না। তবে যদি শুনি কৃষক ফসলের ভাল দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছে তাহলে মনটা খুশিতে ভরে উঠে। কিন্তু কৃষিপণ্য আমদানির নীতি নির্ধারকরা বুঝতেই চেষ্টা করেন না যে কৃষকরা উৎপাদন করে শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য দশের জন্য।

কৃষকের সন্তান হলেও প্রথিতযশা হলে অনেকেই ভূলে যান শেকড়ের আমিত্বকে। কখনো কখনো তারা চাষীদের চাষা বলেও সম্বোধন করেন। আবার গ্রাম-চাষীদের প্রতিনিধি মহামান্য সাংসদরাও চাষিদের বিষয়ে খুব উৎসাহিত নন। কৃষিপণ্যের দাম একটু বাড়লেই তা কমানোর জন্য তারা কমিটি, উপ-কমিটি ও কো-কমিটি গঠন করতে বসেন। কৃষকের কষ্টের কথা ভাববার সময় তাদের থাকে না।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দেখলাম, দেশে চাহিদার তুলনায় সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে ইউরিয়া সারের মজুদ ছয় লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি তিন লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি সাত লাখ ৩৬ হাজার টন, এমওপি দুই লাখ ৭৩ হাজার টন। গত ১৮ আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি। বিগত বছরে এই সময়ে ইউরিয়া সারের মজুদ ছিল ছয় লাখ ১৭ হাজার টন, টিএসপি দুই লাখ ২৭ হাজার টন, ডিএপি পাঁচ লাখ ১৭ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুদের বিপরীতে আগস্ট মাসে সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া দুই লাখ ৫১ হাজার টন, টিএসপি ৪৭ হাজার টন, ডিএপি ৮১ হাজার টন, এমওপি ৫২ হাজার টন।

আরো জানা যায়, কৃত্রিমভাবে যাতে কেউ সারের সংকট তৈরি করতে না পারে এবং দাম বেশি নিতে না পারে, সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিবিড় তদারকি করছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের শাস্তির আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এ ব্যাপারে আমি শুধু রাজশাহী অঞ্চলের (রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ) জুলাই ও আগস্ট মাসের পরিসংখ্যান জানাতে চাই।

জানা গেছে, রাজশাহী রাজশাহী জেলাসহ নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে সার সরবরাহ করা হয়। গত মাসে (জুলাই) নওগাঁ জেলায় এমওপি’র বরাদ্দ ছিলো ১ হাজার ৭৮৩ মে.টন। সেখানে সরবরাহ ছিলো প্রায় ৯৪০ মে.টন। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৮৯২ মে.টন।

এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে এমওপি’র বরাদ্দ ছিলো এক হাজার ৩৬ মে.টন। এখানেও ঘাটতি ছিলো প্রায় ২৮৭ মে.টন। গত সপ্তাহ পর্যন্ত রাজশাহী বিএডিসি বাফার গোডাউনে মাত্র ৫০ মে.টন এমওপি মজুত ছিলো। স্থানীয় ডিলাররা টাকা জমা দিয়েই সরবরাহ পাচ্ছেন না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর (৫লাখ সাড়ে ৯৫ হাজার বিঘা) জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৫৮ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া ও সার সঙ্কটে আমনের আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। যা খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে বটে।

রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া, ৭২টি ইউনিয়ন ও ১৪টি পৌরসভায় চলতি মাসে সারের বরাদ্দ আছে টিএসপি ৬৬৩ মে.টন (১৩ হাজার ২৬০ বস্তা), এমপি ৮০০ মে.টন (১৬ হাজার বস্তা) ও ডিএপি এক হাজার ৫৩১ মে.টন (৩০ হাজার ৬২০ বস্তা)। রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া, ৭২টি ইউনিয়ন ও ১৪টি পৌরসভায় চলতি মাসে সারের বরাদ্দ আছে টিএসপি ৬৬৩ মে.টন (১৩ হাজার ২৬০ বস্তা), এমপি ৮০০ মে.টন (১৬ হাজার বস্তা) ও ডিএপি এক হাজার ৫৩১ মে.টন (৩০ হাজার ৬২০ বস্তা)।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে জেলায় ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর (৫লাখ সাড়ে ৯৫ হাজার) আমন আবাদে প্রথমেই সারের প্রয়োজন ডিএপি ৮হাজার ৯৩৩ মে.টন অর্থাৎ ১ লাখ সাড়ে ৭৮ হাজার বস্তা, এমওপি প্রায় ৬ হাজার মে.টন অর্থাৎ প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বস্তা প্রয়োজন। অথচ এ মাসের বরাদ্দ এমওপি ১৬ হাজার বস্তা, ডিএপি ৩০ হাজার ৬২০ বস্তা। চাহিদার তুলানায় বরাদ্দ কতটা অপ্রতুল যা সহজেই বুঝা যায়।

সঙ্কট আর কৃত্রিম সারসঙ্কট যায় বলি না কেন-কৃষকরা সার পাচ্ছে না, এটাই বড় সত্য। সেদিন এক সম্পাদকীয়তে দেখলাম ‘কৃত্রিম সারসঙ্কট, অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। যদি সঙ্কট না হতো তাহলে এই সম্পাদকীয় লিখতেন না। যদিও বিষয়টি যশোর এলাকা ভিত্তিক। সম্পাদকীয়টি তুলে ধরছি সারের দাম বেড়ে গেছে, বেড়ে গেছে ডিজেলের দামও। এ নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সার ও ডিজেলের বাড়তি ব্যয়ের কারণে উৎপাদন খরচ তোলাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের জন্য।

কিন্তু সারের দাম বাড়লেও সেই সার কি ঠিকঠাকমতো পাচ্ছেন তাঁরা? জেলায় জেলায় গুদামে সার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের অনিয়ম নতুন নয়। সেটিই আমরা দেখতে পাচ্ছি যশোরে। এখন আমন ধানের ভরা মৌসুমে এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সারের জন্য বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে হচ্ছে সেখানকার কৃষকদের। সারের সংকট নেই, আবার সেই সার পাচ্ছেন না কৃষক। এমন পরিস্থিতিতে চাষাবাদ কীভাবে করবেন তাঁরা। এর ফলে কি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না?

মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত আমন ধানের চারা রোপণের সময়কাল। এ সময়ে অ-ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয়, যার একটি হচ্ছে এমওপি। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন সংস্থা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার বেশি এমওপি সার খুলনায় মজুত রয়েছে। ওই সার পরিবহন করে যশোর গুদামে না আনায় কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবহন ঠিকাদারেরা টিএসপি ও ডিএপি সার পৌঁছে দিলেও এমওপি পৌঁছানো হচ্ছে অল্প অল্প করে।

যশোর গুদামে সার পরিবহনের দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকাভিত্তিক পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্স এবং কুষ্টিয়া ট্রেডিং এজেন্সি। এসব প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা বলছেন, সারের সংকটের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অথচ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, সারের সংকট নেই।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোই এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তারা ঠিকঠাকমতো সার পৌঁছে দিচ্ছে না গুদামে। অবৈধভাবে খোলাবাজারে বা মাছের খামারগুলোতে সার বিক্রি করে দিতে এমন কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা। বিশেষ করে মাছের ঘেরে সার বিক্রি করে বেশি দাম পাওয়া যায়। মাছের ঘেরে সরকারের সার বরাদ্দ না থাকায় এমন সুযোগ নিয়ে থাকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এর কারণে বঞ্চিত হন কৃষকেরা।

সার পরিবহনে ঠিকাদারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) প্রভাবশালী নেতারাই এমন অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত বলে আমরা জানতে পারছি। সংগঠনটির কাছে সরকারি কর্মকর্তারাও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়েন, কেউ কেউ সুবিধাও নেন। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্যনিরাপত্তার অনিশ্চয়তার মধ্যে কৃষি খাতই আমাদের সবচেয়ে বড় ভরসার স্থল। সেখানে কোনো ধরনের অনিয়ম কাম্য নয়। যাঁরা সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সম্পাদকীয়র সূত্র ধরেই বলতে চাই লেখাটি ছিলো কৃষকের পক্ষে এবংমুনাফাখোরদের বিপক্ষে। কিন্তু আমরা দেখেছি-বহুজাতিক কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো তাদের পণ্যে দাম বসালেও তাতে কিছু যায় আসে না। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের দাম নিজেরাই নির্ধারণ করেন, কিন্তু কাজটা করতে পারেন না শুধু কৃষকরা। যারা এক কাতারে দাঁড়াতে পারে না, যারা আন্দোলন-বিপ্লব করতে জানে না, যারা অশিক্ষিত, যারা অধিকার নিয়ে সচেতন নয় এমন এক গোষ্ঠির নামই তো কৃষক। ভদ্রলোকরা ওদের চাষা বলে ডাকে। কিন্তু বোধ-বুদ্ধি নেই বলেই কি তাদের ফসল উৎপাদনে ন্যায্য দামে সার পাবে না। শোষক গোষ্ঠীর নিপীড়নের শিকার হবে তারা!

আমরা এখন শিক্ষিত, স্বাধীন, সভ্য জাতি। কিন্তু আমরাই কি এখনো ন্যায্যতার হিসাব বুঝি? আমরা কি বিবেক দিয়ে বিচার করতে জানি? বিচার করি নিজের সার্থের পাল্লায়। অথচ আমাদের দেশের অধিকাংশ উচ্চবিত্ত ও শিক্ষিত পরিবার, কৃষক পরিবার থেকেই আসা। তবু কেন আজ আমরা তাদের স্বপ্ন দেখাতে পারি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কৃষকের চাহিদামত সার সরবরাহ করতে পারি না। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য দিতে পারি না। কী তাদের অপরাধ? আমরা ভুলে যাই কৃষকের দুর্দশার কথা। এর আগে সারের জন্য কৃষকের প্রাণ দিতে হয়েছে। বর্তমান সরকার কৃষকের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। বর্তমান সরকার কৃষিতে অনেকটা ভূর্তুকি দিচ্ছেন। তবে কেন এমন দশা হচ্ছে। কাদের জন্য কৃষক সার পাচ্ছে না?

সার না পেলে কার কি? এসবে কারও কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। কারণ কৃষক মরলে কার কি? কারও কিছু যাবেও না, আসবেও না। দেশের সব কৃষকই জানে, উৎপাদন করলে লোকসান গুণতে হয়, ধারদেনার টাকা না তুলতে পেরে পালিয়ে বেড়াতে হয়। তবু তারা আবাদ করেন। কারণ একটাই তারা নিরুপায়। চাষ না করলে খাবে কি, আর করবেই বা কি! তাদের নিয়ে কথা বলার কি কোনো কর্তৃপক্ষই নেই? আমরা সুশীল, শিক্ষিত সমাজ আর কতোটা স্বার্থপর হবো? আসুন, আমরা একটু হলেও কৃষক নিয়ে ভাবি, দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে ভাবি; তাদের কল্যাণে কথা বলি, তাদের এগিয়ে নিতে কার্যকরি পদক্ষেপ নেই।

তবে আশার পদক্ষেপ শোনা যাচ্ছে, রোববার রাজশাহীতে সার ডিলার ও বিএডিসি এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সার ডিলাররা এদিন জরুরি বৈঠক করে পটাশ সারের সংকট দ্রুত নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।
তারা রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও জেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন সার কালোবাজারে যাচ্ছে। গোয়ান্দা সংস্থার একটি সূত্র জানায়, সার সংকটের কারণ চিহ্নিত করতে তারা মাঠে কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলছে। এর পেছনে কারা রয়েছে, তা বের করার চেষ্টা করছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে