রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে ডেকে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২; সময়: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ |
রাবি ছাত্রলীগ নেতাকে ডেকে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে ডেকে নিয়ে লাঠি ও রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে একই সংগঠনের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজোয়ান গাজি মহারাজ।

বুধবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে এই মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহারাজ।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মুশফিকুর রহমান প্রান্ত, মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলম সাকিব, শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শামীম শিকদার, সৈয়দ আমীর আলী হল ও শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন ও মিম মো. মাজেদ মিয়া।

জানা গেছে, অভিযুক্তরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্তর অনুসারী। অপরদিকে ভুক্তভোগী রেজোয়ান গাজী মহারাজ ছাত্রলীগ থেকে সম্প্রতি বহিষ্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের অনুসারী ছিলেন।

মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী মহারাজ বলেন, ‘বুধবার রাত সাড়ে ৮টায়, পরিবহনে বসে ছিলাম। এমন সময় অভিযুক্ত জুয়েল আসে। এসে বসে কথা বলার এক পর্যায়ে হাটার কথা বলে পাশে ডেকে নিয়ে যায়। পরে প্রথম বিজ্ঞান ভবনের পেছনে পৌছালে, জুয়েল আমাকে ধরে ফেলে, এবং পেছন থেকে ৪-৫ জন এসে রড ও লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। মারার এক পর্যায়ে মাটিতে পরে গেলে তাদের কয়েকজন বলে মেশিনটা বের কর। মেরে দে। পরে তারা কিছু বের করেনি। অভিযুক্তদের হাতে ছুরি ছিল। তবে ছুরি দিয়ে তারা আমাকে আঘাত করেনি।’

ভুক্তভোগী জানান, মারধরের ঘটনায় তার শরীর বিভিন্ন অংশ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তিনি রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন এবং মারধরের ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় তিনি নগরীর মতিহার থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে জুয়েল হোসেনকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নিজের অনুসারীদের দ্বারা মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত বলেন, ‘আমাদের এরকম কেউ ছিলোনা। আমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক এরকম কিছুই না।’ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমি মারধরের বিষয়টি শুনেছি। আমরা বিষয়টি দেখছি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘বুধবার রাতে মারধরের বিষয়টি মুঠোফোনে ভুক্তভোগী নিজেই আমাকে জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলেও জেনেছি। আমি সেই শিক্ষার্থীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছিলাম। চিকিৎসা কেন্দ্রে দুজন সহকারী প্রক্টরকেও পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এর পূর্বেই সেই শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। পরে সে আর কোনো যোগাযোগ করেনি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে