রাবি প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে অগ্রগতি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২; সময়: ১:৪২ অপরাহ্ণ |
রাবি প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে অগ্রগতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : শিক্ষা ও গবেষণায় জাতীয় ও বৈশ্বিক তালিকায় অবস্থানগতভাবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি)।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশে ৪র্থ ও বিশ্বে ১৫৯৩তম অবস্থানে ওঠে এসেছে বলে জানিয়েছে স্পেনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়েবোমেট্রিক্সের প্রতিবেদন। শিক্ষা ও গবেষণার মান বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসনের নানামুখী উদ্যোগ, শিক্ষকদের গবেষণা ও সাবেক শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের ফলেই এমন অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি বিশ্বের প্রায় দুই শতাধিক দেশে ৩১ হাজার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ওয়েবোমেট্রিক্সের ‘বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং-২২’র জুলাই সংস্করণের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, শিক্ষা ও গবেষণার মানের উপর ভিত্তি করে এক ধাপ এগিয়ে দেশে ৪র্থ ও বৈশি^কভাবে ১৫৯৩তম অবস্থানে উঠে এসেছে রাবি। গতবছর দেশে ৫ম ও বৈশ্বিকভাবে ২০৭৬তম অবস্থানে ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির এমন অগ্রগতিতে উচ্ছ্বসিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত নানা উদ্যোগের সুফল হিসেবে জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে এমন অগ্রগতি হচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি অবকাঠামোগত সবিধা বৃদ্ধি করা গেলে রাবির আরও অগ্রগতি হবে বলে মনে করছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শিক্ষা ও গবেষণার মান বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক উদ্যোগ নেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে শিক্ষার গুণমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মোট ১৬৮টি আসন কমানো হয় যা পরবর্তী বর্ষে আরও কমবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় দক্ষতাবৃদ্ধির জন্য ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশিওরেন্স সেলের মাধ্যমে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

এছাড়া গবেষণায় সরকারি বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। এর আওতায় দেশের শিল্প-কারখানাগুলোকে রাবিতে গবেষণা প্রকল্প চালানোর ব্যাপারে আগ্রহী করতে কাজ করবে প্রশাসন। এরই মধ্যে গত ১১ অগাস্ট বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সঙ্গে গবেষণা সহায়তায় সমঝোতা স্মারক করে প্রশাসন। এছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে প্রথমবারের মত একটি আন্তর্জাতিক ব্রশিয়ার প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, এটা একটা ভালো খবর বটে। কিন্তু আমি মনে করি না এখনও আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছেছি। বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষা ও গবেষণাকে নিয়ে আমরা যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি সেগুলো অব্যহত থাকলে আগামী দুই তিন বছরে আমরা এর সুফল পাবো।

উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত ও অর্থগত সুবিধার অভাব রয়েছে। সরকারকে বলেছি তারা যেন গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ায়। সরকার হয়ত সবসময় তা দিতে পারে না। এর জন্য উদ্যোগ নিয়েছি, এই একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির যুথবদ্ধতাকে গবেষণায় এগিয়ে নিতে চাই।

ইতোমধ্যেই গবেষণার জন্য প্রায় ৮২ কোটি টাকার প্রজেক্ট ডেভেলপ করেছি, যেটা নিয়ে আমি শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ইউজিসিতে যাবো। এছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে একটি আন্তর্জাতিক ব্রশিয়ারও করেছি আমারা। এসব কিছু যথাযথভাবে চললে আগামীতে শিক্ষা ও গবেষণায় আমরা আরও ভালো করতে পারবো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে