আরও ৩২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২; সময়: ১১:২০ পূর্বাহ্ণ |
আরও ৩২ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে বেসরকারিভাবে আরও ৩২ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৬টি প্রতিষ্ঠান অনুমতি পাচ্ছে।

এ প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বুধবার (১৭ আগস্ট) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ২০ হাজার টন এবং আতপ চাল ১২ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে।

অন্যদিকে এর আগে যাদের চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাদের এলসি খোলার সময় আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে চার লাখ নয় হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠান, ৪ জুলাই ২ লাখ ৪৬ হাজার চাল আমদানির জন্য ১২৫টি প্রতিষ্ঠান, ৭ জুলাই এক লাখ ৮২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৬২টি প্রতিষ্ঠান, ১৩ জুলাই ৭৩ হাজার চাল আমদানির জন্য ৪৭টি প্রতিষ্ঠান ও ২০ জুলাই ৯০ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

চাল আমদানি শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।

বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশের বাজারজাতকরণ করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে।

বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

অনেকদিন ধরেই অস্থিতিশীল চালের বাজার। ভরা বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চালের কেজি প্রতি দাম ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। চিকন চালের কেজি ৬৫ থেকে ৮০ টাকা।

এ প্রেক্ষাপটে দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নেমেছে।

নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ শুল্ক ছাড়ের অনুমোদন পেতে আমদানিকারককে অবশ্যই খাদ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি নেওয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে এনবিআর।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে