লাগাম ছাড়া বাজার দর, দিশেহারা মানুষ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২; সময়: ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ |
লাগাম ছাড়া বাজার দর, দিশেহারা মানুষ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রেসারের রোগী খবির উদ্দিন এখন বাজারে যায় না ভয়ে। রাজধানীর শুক্রবাদ এলাকার এ বাসিন্দা গেল শুক্রবার বাজারে এসে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার ছেলে আলিম উদ্দিন জানান, আসলে বাবার বয়স হয়েছে। শখের বশে সপ্তাহের বাজার বাবাই করতেন।

মধ্যবিত্ত পরিবার একটু হিসেব করেও বাজার করতেন। বাজারে এসে সবকিছুর এতে দাম শুনে প্রেসার হয়তো একটু বেড়ে গিয়েছিল। এখন বাবাকে বাজারে যেতে দেই না, বাসায় সুস্থ আছেন। প্রায়ই আমার ছোট ভাই সুজনকে ডেকে বলে, সুজন হিসেব করে চল হিসেব করে চল।

আলিম উদ্দিন আরও বলেন, হিসেব আর কতো করা যায় বলেন, ঘর থেকে বের হলেই টাকা দরকার। বাসা ভাড়া একটু বাড়ছে, গাড়ি ভাড়া বাড়ছে, খাওয়া খরচ বাড়ছে। ওষুধ কিনতে গিয়ে দেখলাম সেটিরও দাম বেড়েছে। আর পারি না ভাই।

বেসরকারি চাকরি করা আলিম উদ্দিন এখন সংসার জীবনে যেন হাফিয়ে উঠেছেন। খরচের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি। এই পরিবারটির মতো রাজধানীতো বটেই গ্রামের পরিবারগুলো এখন ভালো নেই। বাজারে সব ধরনের পণ্যের বাড়তি দাম। এই বাজার দর নিয়ে ভালো নেই সাধারণ মানুষ। অনেকটাই দিশেহারা। সামনের দিন কিভাবে চলবে, কেমন পরিস্থিতি আসতে যাচ্ছে সেসব নিয়ে পরিবার বন্ধু স্বজনদের সাথে অনেকেই আলোচনাও করেন। কিন্তু কোনো সমাধান বের হয় না।

খবির উদ্দিনের মতো অনেক মানুষ এখন ভয়ে বাজারে যেতে চান না। গত এক বছর আগের বাজারের সাথে বর্তমান বাজারের হিসেব মেলে না। গত দুই মাস আগের বাজারের সাথে বর্তমান বাজারে তারতম্য অনেক। বাজারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইস্যুতে এমনিতেই সবকিছুর দাম একটু একটু করে বাড়ছিল। সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর বাজারে এর প্রভাব পড়েছে দ্রুত।

সম্প্রতি চন্দ্রিমা উদ্যানে সকালবেলা শরীর চর্চা শেষে কিছু মধ্যবয়সী মানুষ একত্রে গল্প করছিলেন। সেখানেও উঠে আসে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে। আলোচনায় যুক্ত হয়ে জানা গেল কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি কর্মকর্তা এবং ইঞ্জিনিয়ারসহ নিজেরা প্রতিদিন এই শরীর চর্চা থেকে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজহার নামের একজন বলেন, এই বাজারের দাম বেড়ে যাচ্ছে এটিতেই সরকারকে ভাবিয়ে তুলছে।

উপস্থিত এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সরকার পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করছে, কিছু করার নাইতো। পাশের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, আসলে যেই জ্বালানির দামটা বাড়লে সব বেড়ে গেল। বাজারে ডিম ৫০ টাকার উপরে হালি চিন্তা করতে পারেন?

চায়ের দোকানে, সেলুনে, জিমনেসিয়ামে, রেস্টুরেন্টে সবখানে এক আলোচনা, বাজারের সব কিছুর ‘বাড়তি দাম’ নিয়ে। এই বাড়তি দাম কমবে কবে সেটি এখন প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে সংসদ ভবনের সামনে আড্ডারত কতিপয় যুবক বাদাম খাচ্ছিলেন। ১০ টাকার বাদাম কিনতে চান, উত্তরে বাদাম বিক্রেতা বলেন দশ টাকার বাদাম পছন্দ হবে না, বেচা যায় না। বাজারে সব দাম বেড়েছে আমাদেরওতো সংসার আছে। আড্ডা দেওয়া যুবকদের একজন রাসেল আহমেদ বলেন, কথাতো ঠিকই মামা, আপনারও তো সংসার আছে। বাজারে জিনিসতো ধরাই যায় না যেন আগুন!

গত ৫ আগস্ট রাতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। যা ওইদিন রাত ১২টার পর থেকেই কার্যকর হয়।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। মাছ, মাংস, চাল ডাল কিছুই বাদ যায়নি। পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বলছেন, গাড়িতে মাছ আনার খরচ বেশি খাদ্যের দাম বেশি তাই কেনাও বেশি। খুচরা মাছ বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে কেনা বেশি, অল্প দামে বেচার উপায় নেই। গরিবের পাঙ্গাসের তেলাপিয়া এখন উচ্চমূল্যের মাছ।

ঢাকার কারওয়ান বাজার, রামপুরা, ফার্মগেটসহ কয়েকটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে দুশ টাকার উপরে। যা আগে ছিল সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা কেজি। ১২০-১৪০ টাকার পাঙ্গাস এখন ১৭০ টাকার নিচে পাওয়াই যায় না। পাঙ্গাস-তেলাপিয়াই যখন দাম বেড়েছে সেখানে অন্য মাছের দাম আকাশ ছোঁয়া। কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা রহমান বলেন, নিজেদের কাছেই খারাপ লাগে এভাবে দাম বেড়েছে। আমাদেরতো কিছুই করার নেই মোকামে দাম বেশি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বাড়লেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচও অনেক বেড়ে গেছে। যে কারণে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও সবজির দাম কমার বদলে উল্টো বেড়েছে। মানুষ আগের চেয়ে কেনাতেও কমিয়েছেন। শুকুর আলী নামে এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতা আসলে শুধু ধমকায় বলেন ওই মিয়া এতো দাম কেন সবকিছুর। আরেক বিক্রেতা বলেন, তোমাদের কাছে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নাই? কেমনে বুঝাই আড়ৎ এ গেলে কি কষ্ট করই মাল কিনে আনি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গাজরের দাম ১৪০ টাকা কেজি, পাকা টমেটো ১২০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০, কাঁকরোলের কেজি ৫০-৬০, চুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তদার মইনুল হোসেন বলেন, তেলের দাম হঠাৎ বাড়ার কারণেই সবজির দাম বেড়েছে। এখন সবজি পরিবহনে বেপারিদের প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। যেখানে সবজির দাম ধীরে ধীরে কমার কথা, সেখানে গাড়ি ভাড়ার কারণে সবজির দাম বেড়েছে।

বাজারে গরিবের মাংস খ্যাত ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস নিম্নআয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্তদেরও। সেই সাথে ডিমের দাম আরও বেশি ভোগাচ্ছে। রাজধানীর বেশির ভাগ মেস বাসায় ডিম খুবই প্রয়োজনীয় খাবার। এছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা খাবারে ভরসার নাম এই ডিম। অথচ এর দাম এতো বেড়েছে যে এটি এখন শখের খাবারে পরিণত হয়েছে।

প্রতি হালি ডিম রাজধানীতে ৫২ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি কাঁচামরিচ নাজেহাল করে ছাড়ছে। ১০০-১২০ টাকা ধরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ আড়াইশ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে কেজিতে। যদিও সীমান্ত এলাকায় এর দাম একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

বেশ কিছু দিন ধরেই বেড়েছে ডিমের দাম। আমিষের চাহিদা পূরণে ডিম আর ব্রয়লার মুরগি স্বল্প আয়ের মানুষের দারুণ পছন্দ। তবে বাজারে এই দুটি পণ্যের দামেও লেগে আছে ‘আগুন’। এর মধ্যে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। একটি ডিম ১৪ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। দাম বৃদ্ধি নিয়ে পাইকাররা দুষছেন খামারিদের। আর খুচরো ব্যবসায়ীরা দুষছেন পাইকারদের। এমন পরিস্থিতিতে ডিমের দামে পিষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা সাধারণ মানুষের।

বুধবার (১৭ আগস্ট) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ইস্যুতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আমরা অনেকেই আশাবাদী, অক্টোবরের মধ্যে হয়তো পরিস্থিতি ঠিক হতে পারে। কতগুলো ফ্যাক্টর তো কাজ করে। এখন আমি জানি না পুতিন সাহেব কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। এটাতো আমার হিসাবের মধ্যে নেই।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শিগগিরই ভোজ্যতেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে। ডিমের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানি করতে গেলে তো একটু সময় তো লাগবে। আমরা একটু দেখি। যদি এমনটাই হয় সত্যি যে ডিম আমদানি করলে এটা কমবে, তাহলে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব। আমরা কৃষি, মৎস্যসহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় মিলে কীভাবে ডিমের দাম কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব। তবে সবকিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব না।

এদিকে, চালের দামে স্বস্তির খবর নেই। সপ্তাহখানেক আগেও মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে, যা চলতি সপ্তাহে ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির তথ্য বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম ৬ শতাংশ বেড়েছে। একই হারে বেড়েছে মাঝারি মানের বিআর-২৮ জাতের চালের দাম।

এই চাল ৫৫-৫৮ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়। মিনিকেট চাল সপ্তাহখানেক আগেও ৬৮-৭২ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত এখন কিনতে হলে সেটা ৭৫-৭৮ টাকা দরকার হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের ‘আল্লাহর দান রাইস এজেন্সি’র বিক্রেতা হাবিবুর জানান, গাড়ি ভাড়া ও ধানের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবেই চালের দাম বাড়ছে।

খাবারের মতো স্বাস্থ্য সেবা নিতেও এখন হিমসিম খাচ্ছে মানুষ। গত জুলাইয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়া এমন ৫৩ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। জ্বর, ঠান্ডার মতো সমস্যা দেখা দিলে সাধারণত প্রাথমিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয় প্যারাসিটামল ওষুধের।

অথচ হঠাৎই বেড়ে গেল দেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন এ ওষুধের দাম। প্রতি পাতা প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের দাম ৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ টাকা। আর সিরাপ ১৮ টাকা থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা।

২৪ টাকার এমোক্সিসিলিন ইনজেকশনের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা। ২১ টাকার প্রোমেথাজিন ৩৫ টাকা। এভাবে কোনো কোনো ওষুধের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কোনোটির দাম বাড়ার হার ১৩২ শতাংশ। ওষুধের বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। একটি টেকনিক্যাল কমিটি ওষুধ উৎপাদনকারীদের প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করে মূল্য নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। এরপর ওষুধের মূল্য পুনর্মূল্যায়ন করে সেগুলোর নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আচমকা বাড়ানো হয়েছে বিষয়টা এমন নয়।

এক হাজার টাকার বাজারে এখন আর ব্যাগে ভর্তি হয় না এই আফসোস রকিবুল হাসানের। তিনি বলনে, সংসার খরচে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছি। বাড়তি খরচে হিসেব মেলে না। ঘর থেকে বের হলেই টাকা দরকার অথচ আয়ের চাকাটা আটকে আছে এক জায়গায়। দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি, কি হবে সামনে মাথায় আসে না।

জ্বালানির দাম যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তাতে জনজীবনে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।

ক্যাবের সভাপতি বলেন, সার্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্টের মধ্যে আছে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে প্রভাব পড়েছে। এতে উচ্চশ্রেণির মানুষের ভোগান্তি না হলেও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

তারা তাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় তা দিয়ে তাদের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে কেনার সময় অনেকে পরিমাণে কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে, টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে বেশি করে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা। এতে একটু হলেও কষ্ট দূর হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও এখন অস্থির সময় পার করছে। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।

তাই অধিদফতর যতই চেষ্টা করুক না কেন, দাম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন কাজ। তারপরও বাজারে অভিযান পরিচালনা করে যৌক্তিক দামে পণ্য বিক্রি করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ব্যবসায়ীদেরও একটু সহনশীল হতে হবে। অতি মুনাফা করা যাবে না। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সাধারণ মানুষ তাদের আয়ের সাথে ব্যয়ের সমন্বয় করার হিসেব করছেন কিন্তু সে হিসেবে বার বার ঘুলিয়ে ফেলছেন। তাই এ জন্য কঠোর বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি এমন পরিস্থিতি থেকে দ্রুতই উত্তরণ প্রতাশা তাদের।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে