স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২; সময়: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ |
স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দোহাকে (৪০) দুই বছর ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় শামসুদ্দোহা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শামসুদ্দোহার বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে তার স্ত্রী ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এক নম্বর সড়ক এলাকার বাসিন্দা ফারজানা খন্দকার তুলি (৩২) গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। গত ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট শামসুদ্দোহার সঙ্গে ফারজানার বিয়ে হয়। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রায়েরবাজার এলাকা থেকে গুলশান থানা পুলিশ যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিট ও নির্যাতনের অপরাধে দায়ের করা মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দোহাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এই মামলা তদন্ত করেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের। তিনি গত ১৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি স্বপন পাল জানান, আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় শাসুদ্দোহাকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

জরিমানার টাকা শামসুদ্দোহাকে পরিশোধ করতে হবে, এখানে অনাদায়ের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করেন ফরিদপুর জজ কোর্টের আরও দুই আইনজীবী মোহাম্মদ আবু জাফর ও গুলজার মৃধা।

আইনজীবী গুলজার মৃধা বলেন, ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দোহা আদালতে জামিনের আবেদন জানান। নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে এ মামলাটি শেষ করার জন্য ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর শামসুদ্দোহাকে দর্শনা থেকে রংপুর জোনে বদলি করা হয়। পরে সেখানে থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবী জাহিদ ব্যাপারী বলেন, এ রায়ে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে