স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২; সময়: ৪:৪৮ অপরাহ্ণ |
স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার মিরপুরের ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী এবং দুই সন্ত্রানের জননী ডলি খাতুনকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগে স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বেলা দেড়টার সময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ মিরপুর উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে। কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গ্রামে বহুরুল ইসলামের মেয়ে ডলি খাতুনের সঙ্গে ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাব বিয়ে হয় একই উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজের সঙ্গে।

বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডলির সঙ্গে কামালের কলহ লেগে থাকতো। এর মধ্যেই ডলি মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া পরিবার পরিকল্পনা অফিসে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি পায়। চাকরি পাওয়ার পর থেকে ডলি খাতুনের ওপর তার স্বামী নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে তার স্ত্রী ডলির কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এর এক পর্যায়ে কামাল তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে।

ডলি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে ডলির বাবা বহুরুল ইসলামকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বহুরুল ইসলাম ডলির মরদেহ দেখে সন্দেহ হলে তিনি বাদী হয়ে একই দিনে মিরপুর থানায় ডলির স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ, তার বাবা সন্টু কবিরাজ এবং মাতা আমেনা খাতুনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় গ্রেপ্তারের পর স্ত্রীকে ডলিকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ। মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসাদুজ্জামান কামালকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালে ২৬ জুন মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবু বক্কার ।

পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিককে আদালত এই রায় দেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে