নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নিম্ন মধ্যবিত্তের হাঁসফাঁস

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২; সময়: ১:১১ অপরাহ্ণ |
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নিম্ন মধ্যবিত্তের হাঁসফাঁস

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সম্প্রতি জ্বালানি তেল ও সারের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে শহর থেকে গ্রামগঞ্জের সবখানেই। যার প্রভাব পরিলক্ষিত মুদি দোকান থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার অবধি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে শাকসবজির। হঠাৎ বাজারের এমন অস্থিতিশীলতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি কমে গেছে, সে কারণেই দাম কিছুটা বেড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাহিদার তুলনায় এ বছর সবজি উৎপাদন কম। যে কারণে দাম কিছুটা বেশি। তবে রবি মৌসুমের শাকসবজি বাজারে উঠলেই দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

মুক্তাগাছা পৌর বাজারসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতে সরেজমিন দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে সবজিসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্য দ্রব্যের। প্রকারভেদে প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা দাম বেড়েছে বিভিন্ন তরকারির।

হাফিজ মিয়া নামে এক ভ্যানচালক বলেন, শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি আয়। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বড়লোকদের অনেক টাকা আছে তাদের চিন্তা নেই। আমরা গরিব মানুষ, না খেয়ে থাকলেই বা কার কি আসে যায়।

মো. জাকির নামে এক কৃষক বলেন, একে তো সার ও তেলের দাম বৃদ্ধি, তারমধ্যে নিত্যপণ্যের যে হারে দাম বেড়েছে, আয় তো দূরের কথা খেয়েপরে বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে পড়েছে।

ফুটপাতে ঝালমুড়ি বিক্রেতা তালেব বলেন, সারাদিনে সর্বোচ্চ ৪০০-৫০০ টাকার মতো ইনকাম হয়। বেচাবিক্রি কম থাকলে এর চেয়ে কমও হয়। সামান্য এই আয়ে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে কোনোমতে টেনেটুনে সংসার চলে। বর্তমান নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারের যে অবস্থা তাতে চাল, ডাল, তেল কিনতেই হিমশিম খেতে হয়। তারমধ্যে শাকসবজির বাজারে আকাশছোঁয়া দামের উত্তাপে বাজারে যেতেই ভয় লাগে। এ অবস্থায় বর্তমানে ধারদেনা করে কোনোমতে সংসার চালালেও আগামী দিনে দুবেলা দুমুঠো ভাতের জোগান দিতে পারব কিনা সেই চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না।

এ বিষয়ে মুক্তাগাছা পৌর শহরের দরিচার আনি বাজারের খুচরো ব্যবসায়ী আলম মিয়া, মিন্টু মিয়া, শেখ চান, জাকির মিয়াসহ কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, চাহিদার তুলনায় এ উপজেলায় চার ভাগের এক ভাগ শাকসবজি উৎপাদন হয়। বাকি শাকসবজি অন্যান্য অঞ্চল থেকে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে পরিবহণ খরচ বেশি ও পণ্য উৎপাদন কম হওয়ায় আমদানি কমে গেছে। আমদানি কমায় পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমদানি না বাড়লে দাম কমবে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা পারভিন জামান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ সময়টাতে চাহিদার তুলনায় সবজি উৎপাদন কম হয়। যে কারণে দাম কিছুটা বেশি থাকে। তবে রবি মৌসুমের শাকসবজি বাজারে উঠলেই দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানান তিনি।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে