যেভাবে মৃত্যু হয়েছে সেই শিক্ষিকার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২; সময়: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ |
যেভাবে মৃত্যু হয়েছে সেই শিক্ষিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : কলেজ ছাত্রকে বিয়ে করার আট মাসের মাথায় মারা যাওয়া নাটোরের শিক্ষিকা খায়রুন নাহার ‘ফাঁসিতে আত্মহত্যা’ করেছেন বলে প্রাথমিক পরীক্ষায় পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সামিউল ইসলাম শান্ত একথা জানান।

তিনি জানান, সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার রায়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করছে। এই শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মৃতের গলায় অর্ধ চন্দ্রাকৃতির কালচে দাগ পাওয়া গিয়েছে; যেটা ফাঁসিতে আত্মহত্যার ক্ষেত্রে দেখা যায়। কেউ হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখলে গলায় গোলাকার দাগ থাকে। আরও কিছু ল্যাব পরীক্ষা বাকি আছে। সবকিছুর ফল পাওয়ার পর একসঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

পুলিশের সুরতহাল পরীক্ষায় পাওয়া লক্ষণেও আত্মহত্যার ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ। রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়ায় মোল্লা ম্যানশনের ভাড়া বাসা থেকে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

৪২ বছর বয়সী খায়রুন নাহার গত বছরের ডিসেম্বরে কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় ২৩ বছর বয়সী মামুন হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, খায়রুনের স্বামী মামুন হোসেনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। খায়রুনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে