রাতে কী ঘটেছিল সেই শিক্ষিকার বাসায় জানালেন নৈশপ্রহরী

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২; সময়: ২:৫৩ অপরাহ্ণ |
রাতে কী ঘটেছিল সেই শিক্ষিকার বাসায় জানালেন নৈশপ্রহরী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের পর ছাত্রের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নিহত সেই কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) স্বামী মামুন গভীর রাতে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর পর ভোরে বাসায় ফিরে সবাইকে জানান তার স্ত্রী মারা গেছেন।

রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বালারিপাড়া এলাকার হাজি নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চার তলার ওই ফ্ল্যাটের নৈশপ্রহরী মামুন পুলিশকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শনিবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে খায়রুন নাহারের (৪০) স্বামী মামুন বাসা থেকে বের হন। গভীর রাতে বাসা থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মামুন বলেন, তিনি চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। এরপর রোববার (১৪ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে মামুন ঘরে ফেরেন। এরপরই স্ত্রীর মৃত্যুর খবরটি তিনি সবাইকে জানান।

এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আলী জানান, খবর পেয়ে সিআইডির একটি দল রাজশাহী থেকে রওনা দিয়েছে। তারা মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠাবে।

এর আগে সকালে নাটোর শহরের বালারিপাড়া এলাকার হাজি নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চার তলার একটি ফ্ল্যাটে নিজ ঘরে ওই কলেজশিক্ষিকার মরদেহ পাওয়া যায়। ওই বাসায় ভাড়ায় থাকতেন তিনি।

খায়রুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তবে শনিবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস নিয়ে শিক্ষিকা খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন নিহতের স্বামী মামুন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৩টার দিকে মামুন প্রতিবেশীদের ডেকে এনে বলেন, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেশীরা তার ঘরে গিয়ে দেখতে পান খায়রুনের নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে শোয়ানো। এতে তাদের সন্দেহ হলে মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন তারা।

নাটোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া মামুনকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তানও ছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

ফেসবুক মেসেঞ্জারে প্রথমে পরিচয়; তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর তারা দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৩ মাসের সম্পর্কে রয়েছে ভালোবাসার গভীরতা। আর এ গভীরতা থেকেই বিয়ে করেন তারা। তবে আট মাস আগে বিয়ে করলেও তারা তা গোপন করেন। পরে বিয়ের খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে