ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বগুড়া-রংপুর চার লেনের নির্মাণকাজ বন্ধ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২; সময়: ২:২৭ অপরাহ্ণ |
ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বগুড়া-রংপুর চার লেনের নির্মাণকাজ বন্ধ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের চার লেনের অবকাঠামো নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। সহকারী ঠিকাদারদের পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছে তারা।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের প্রথম দিকে বগুড়ায় চার লেন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেলেও কয়েক দিন ধরে শ্রমিকদের দেখা যাচ্ছে না। নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ায় পরিবহন চালক ও যাত্রীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে রংপুর পর্যন্ত সাসেক্স-২ প্রকল্পের আওতায় চার লেনের কাজ গত বছর থেকে ভালোভাবে চলছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে চার লেন নির্মাণকাজ ধাক্কা খাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৭৫ কিলোমিটারে সড়ক নির্মাণ কাজের সহকারী ঠিকাদাররা নির্মাণ সামগ্রীর সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, তাদের পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান মূল্যে তাদের পক্ষে নির্মাণকাজের সামগ্রী সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এ চার লেন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখায় চালক-যাত্রীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। তারা বলেছেন, কাজ বন্ধ রাখায় চার লেনের নির্মাণকাজ শেষ করতে বেশি সময় লাগবে।

বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর প্রাং জানান, সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন নির্মাণের কাজ গত বছর থেকে ভালোভাবে এগিয়ে আসছিল। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে নির্মাণকাজ করতে আর দেখা যাচ্ছে না। চার লেন নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এ সড়কে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ বাড়বে। নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হলে চলাচলে সুবিধা হবে।

চার লেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সহকারী ঠিকাদাররা হাত গুটিয়ে নেওয়ায় চার লেনের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। কিন্তু আন্ডার পাস এবং ওভার পাসের কাজ চলছে যথারীতি। আন্ডার পাস ও ওভাবর পাস নির্মাণকাজের ৫৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এমন দাবি সাসেক্স-২ এর প্রকল্প কর্মকর্তার।

ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর জয় প্রকাশ চৌধুরী বলেন, মূল ঠিকাদারদের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। হয়তো তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা ভাবছেন ঠিকদাররা অন্যদিকে ব্যয় কমিয়ে সমন্বয় করতে পারেন কি না। এডিবি এই প্রকল্পের কাজ পর্যবেক্ষণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ত্রয়মূল্যে কী ধরনের প্রভাব পড়েছে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করছে এবং ১৫ দিন পর ব্যবস্থা নেবে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের ভিত্তিতে দর সমন্বয়ের ব্যবস্থা আছে। দর সমন্বয়ে আমরা পরিসখ্যান ব্যুরোর পরিসংখ্যান ব্যবহার করি। ঠিকাদারদের বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই, সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

চার লেন নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেডের সমন্বয়কারী আরমান হোসেন জানান, সহকারী ঠিকাদাররা তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর থেকে ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ সামগ্রীর সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছে। সে কারণে কাজের গতি কমে গেছে। বলতে গেলে কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে