পুঠিয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে রাতে প্রেমিকার অনশন, অতপর..

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২; সময়: ৮:২১ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে রাতে প্রেমিকার অনশন, অতপর..

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রেম কোনো নিয়ম মেনেও চলে না। ভালোবাসা সঙ্গীর বয়স মেনে হয় না, নিজের বয়সও মুখ্য মনে হয় না। এটি অনেকটাই পূর্বনির্ধারিত। কেউ ৬০ বছর পেরিয়েও উদ্যম নিয়ে প্রেম করতে পারেন।

সোনিয়ার কাছে অচেনা নাম্বার থেকে কল আসে। শুরু হয় প্রেমের প্রথম প্রহর। কিছুদিন কথা বলার পরে বিড়ালদহ মাজারে দেখা হয় দুজনার। প্রেম ছুটে চলে গভীর থেকে গভীরে। বিয়ের প্রলভোনে কয়েকবার শারিরীক সম্পর্ক করা হয় বলে প্রতিবেদককে জানান সোনিয়া। বিয়ের চাপ আসতেই সটকে পড়ার চেষ্টা করে সিজান। অবশেষে গড়িমসি শেষে বিয়ে হয় দুজনার৷

ঘটনাটি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পাশাপাশি দুই ইউনিয়ন বানেশ্বর ও পুঠিয়ার। প্রেমিকা সোনিয়া বানেশ্বর ইউনিয়নের ভাড়রা গ্রামের বাবুল আলীর মেয়ে (১৯)৷ আর ছেলে বেলপুকুর ইউনিয়নের বেলপুকুর থানাধীন ( আরএমপি) চকধাদাশ গ্রামের লতিফুরের ছেলে সিজানুর রহমান ( ১৫) ।

সূত্র জানায়, সোনিয়ার খালার বাড়ি চক ধাদাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে। সেখানে বেড়াতে আসলে সোনিয়াকে দেখে পছন্দ হয় সিজানের ৷ এর পর শুরু হয় ঘটনা। মোবাইল নাম্বার জোগাড় করে সোনিয়াকে কল দেয় সিজান। এক কথা দুকথা চলতে চলতে তাদের প্রেম হয়ে ওঠে গভির৷

মেয়ে জানায়, সাড়ে ৩ বছরের সম্পর্ক তাদের। বিয়ে করবে বলে অনেক বার শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় সিজান৷পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কৌশলে সটকে পড়ার চেষ্টা করে সিজান। সোনিয়া উপায় না দেখে শুক্রবার রাত আটটার দিকে ছেলের (সিজান) বাড়িতে (ঘরে) অবস্থান নেন সোনিয়া।

ঘটনা শুনে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে কিছু ঘন্টা খানেক অবস্থান নিয়ে চলে যায়৷ রাত সাড়ে ২ টার দিকে স্থানীয় ভাবে শালিসে বসে দুপক্ষের ৫ জন করে মোট ১০ জন জুড়িবোডে যান৷

ফিরে এসে জুড়ি বোডের সিদ্ধান্ত জানান বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য লতিফুল৷ তিনি বলেন, এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা (১,২০,০০০) মহরানার মাধ্যমে বিবাহ সম্পূর্ণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ বিয়ের চারজন সাক্ষি ও স্থানীয়দের সাক্ষরের মাধ্যামে বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে