পুঠিয়ার বানেশ্বরে শহীদ নাদের আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২; সময়: ৭:২২ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ার বানেশ্বরে শহীদ নাদের আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া : পুঠিয়ার বানেশ্বরের নাদের আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু শেখ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরের সভাপতি ও অধ্যক্ষের দন্দের ফলে এ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরে শনিবার (১৩ আগস্ট) সকালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রহুল আমিন নান্নু তার কক্ষে গিয়ে তালা দেখে তিনি তার স্টাফের কক্ষে গিয়ে অবস্থান নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার সচেতন মহল প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকগণ এবং গভার্নিং বডির সদসরা এর প্রতিবাদ শুরু করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুইপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির আঙ্গিনায় অবস্থান নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় পুঠিয়া থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের চাপে সভাপতি বাবু শেখ তার ঘনিষ্ঠজন শামসুল আলম বাবুর মাধ্যমে অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে অধ্যক্ষ রহুল আমিন নান্নু জানান, গত বছরের ১৩ নভেম্বর তারিখে মাহাবুব আলম বাবু শেখ তার প্রতিষ্টানের সভাপতি নিযুক্ত হন। তিনি অষ্টম শ্রেণী পাস হওয়ায় আমি তার সভাপতি নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করি। এছাড়াও তিনি আমার প্রতিষ্টানের রেজুলেশন বই নিজের কব্জায় নিলে দন্দ শুরু হয়।

পরে আমি আদালতের দারস্ত হই। আদালত আমার মামলাটি খারিজ করায় তিনি গতকাল অবৈধ ভাবে আমাকে বরখাস্ত করেন। যা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থি। এছাড়াও গভার্ণিং বডির ১২ সদস্যসের মধ্যে ৮ জন সদস্য ইতি মধ্যে পদত্যাগ করেছে।
এতে বর্তমান কমিটির বৈধতা নিয়ে অধ্যক্ষ প্রশ্ন তুলেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু শেখ বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার পর বেশ কয়েটি মিটিং করি। এছাড়াও সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের দিয়ে একটি মতবিনিময় সভাতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও তার

স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও স্কুল এন্ড কলেজ শাখাকে এক করার প্রস্তাব আসলে সেটা রেজুলেশন করা হলে অধ্যক্ষ রেজুলেশন মোতাবেক কাজ না কারায় আমি রেজুলেশন বহি নেজের আয়ত্তে নিয়েনিই।
এছাড়াও অধ্যক্ষ সাহেব আমিসহ তিনজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ টাকার চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে একটি মামলা করেন। সেটাও গত সপ্তাহের আদালত খারিজ করে দেন।

এছাড়াও অধ্যক্ষকে অবৈধ ভাবে বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে বরখাস্ত করেছি। এছাড়াও তিনি বলেন, বর্তমানে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। এছাড়াও আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের কাছে রেজুলেশন বহি দিয়ে দিয়েছি বলে এ সভাপতি জানান।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে