প্রথমবারের মতো হাইড্রোজেন চালিত জাহাজ নির্মাণ করছে ভারত

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২; সময়: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ |
প্রথমবারের মতো হাইড্রোজেন চালিত জাহাজ নির্মাণ করছে ভারত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে হাইড্রোজেন চালিত জাহাজ নির্মাণ করছে ভারত। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের (সিএসএল) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মধু এস নায়ার বলেছেন, ‘আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ভারতের প্রথম দেশীয় হাইড্রোজেন-জ্বালানিযুক্ত বৈদ্যুতিক জাহাজটি সরবরাহ করা হবে।’

ভারতের কোচি শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে নায়ার বলেছেন, ‘প্রথমবারের মতো ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে হাইড্রোজেন-জ্বালানিযুক্ত বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণ একটি পাইলট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। আমরা এ জাহাজের প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সম্পন্ন করেছি। এখন খুব দ্রুত এটার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো অর্ডার করতে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেছেন, জাহাজের ফুয়েল সেলটি নিজস্ব প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে তৈরি করবে ভারতের পুনে-ভিত্তিক একটি সংস্থা। বর্তমানে এ নৌযান তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ডেলিভারি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ সময় শিপ লিফ্ট-ভিত্তিক শিপইয়ার্ড নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোচির ওয়েলিংটন দ্বীপে শিপ লিফট-ভিত্তিক শিপইয়ার্ডের জন্য আনুমানিক ৯৭০ কোটি টাকা লাগবে। এর জন্য আমরা ৪২ একর জমি ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছি। সেখানে শিপ লিফট-ভিত্তিক শিপইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে।

যেহেতু একটি মাঝারি আকারের জাহাজের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৩০ মিটার, প্রস্থ ২৫ মিটার এবং ওজন ছয় হাজার টন হয়। তাই আমরা শিপইয়ার্ডে এমন সুবিধা রাখব যাতে করে এ ধরনের ছয়টি জাহাজ একসাথে পার্ক করা যাবে এবং দেড় কিলোমিটার বার্থের সঙ্গে উঠানো যাবে।

কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের (সিএসএল) ওই চেয়ারম্যান বলেন, ‘করোনার কারণে এ প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।’

মধু এস নায়ার বলেন, আশা করা হচ্ছে যে এ শিপইয়ার্ডটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে। এটা চালু হওয়ার পরে কোচিতে একটি জাহাজ মেরামতের কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আমরা এখন প্রতি বছর ১০০ জাহাজ মেরামত করছি। এরপর বছরে ১৫০-১৬০টি জাহাজ মেরামতের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘এ শিপইয়ার্ডে ৯ হাজার কর্মচারী রয়েছে। এখন কর্তৃপক্ষ কোচিতে ২৮০০ কোটি টাকার দুটি সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এখানে তিন হাজার লোক চাকরি পাবে, এভাবে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও হবে। আমরা অনেক বড় রফতানি আদেশ এবং প্রতিরক্ষা আদেশ গ্রহণের পরিকল্পনা করছি। এখন আমাদের কাছে ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকার ১৪টি প্রতিরক্ষা আদেশ রয়েছে।

আমরা ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজ নির্মাণের বিষয়ে স্বাক্ষর করেছি। এছাড়া জার্মানি থেকেও আট জাহাজের অর্ডার নিয়েছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে