গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২২; সময়: ৬:৪৪ অপরাহ্ণ |
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে গোয়েন্দারা। গরু পাচারের টাকা কোথায় লগ্নি করা হয়েছে? আর কোথায় রাখা হয়েছে তার খোঁজ করতে শুরু করেছে গোয়েন্দারা। পাশাপাশি গরু পাচারের অর্থ কোথায় যেত, কারা পেতেন সেই অর্থ, পাচার চক্রের সাথে কারা জড়িত, এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই।

গরু পাচার মামলায় আরও গভীরে যেতে চায় সিবিআই। ইতোমধ্যেই এই মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন এনামুল হক নামে এক পাচারকারী।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম। পরে ধীরে ধীরে সামনে আসে গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের প্রকৃত ভূমিকা।

জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে চলছিল এই গরু পাচার সম্পর্কিত চুক্তি। ওই সময় থেকে পাচারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন এনামুল। আর এনামুল হকের সঙ্গেই চুক্তি হতো অনুব্রতর। দুজনের মধ্যে ফোনেও কথা হতো।

এনামুলের সঙ্গে ৩ মাসে ৬ কোটি রুপির চুক্তি হতো। এনামুল তা দিতেন সায়গলকে। সায়গলের হাত ঘুরে চলে যেত অনুব্রতর কাছে।

অনুব্রতর বাবার মুদির দোকান ছিল নানুরের হাটসেরান্ডি গ্রামে। সঙ্গে ছিল গ্রিলের কারখানা ও মাছের ব্যবসা। তা দেখাশোনা করতেন অনুব্রত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজ। অষ্টম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করে উঠতে পারেননি। বীরভূমের রাজনীতিতে তার উত্থান অত্যন্ত চমকপ্রদ।

১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। ২০০৪ সাল থেকে বীরভূম জেলার তৃণমূলের দায়িত্বে। কিন্তু এক সময়ে মাছ বিক্রি করা অনুব্রত কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়ে যান প্রায় হাজার কোটি টাকার মালিক।

জানা গেছে, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর আসানসোলে নেওয়া হয়েছে। নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় একটি ঘরে রাখা হয়েছে তাকে। রাতে একটি চৌকিতে গদি পেতে তাকে শুতে দেওয়া হয়।

আজ শুক্রবার সকালেই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে। অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠন করা হয়েছে মেডিকেল বোর্ড।

অনুব্রত গ্রেপ্তার হওয়ার পরে বীরভূমে দলের হাল কে ধরবে তা নিয়ে বৈঠকে বসেছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। তারা বলছে, অনুব্রতকে এখনই দোষী বলে মনে করছেন না তারা। তবে কেউ কেউ তাকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে