জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২; সময়: ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : উত্তাল সাগর। জোয়ারের উচ্চতা বেড়েছে ৫ ফুটের বেশি। ভয়ঙ্কর ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। লঘুচাপের কারণে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ইতোমধ্যে জোয়ারের পানিতে ঝালকাঠির ১৫ গ্রাম তলিয়ে গেছে। আর পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বাতাসের চাপ অনেকটা বেড়েছে। থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এ অবস্থায় উপকূলীয় এলাকাগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সব মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙর করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

ইতোমধ্যে জোয়ারের পানিতে টইটুম্বুর ঝালকাঠির নিম্ন এলাকা। জেলার সুগন্ধা, বিশখালী, হলতা নদীর পানি উপচে পড়ে ১০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পানিবন্দিদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে কয়েকগুণ বেশি।

ভোলাতেও মেঘনা-তেঁতুলিয়ার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সাগরের বৈরি আচরণে উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে মাছ ধরার ট্রলার।

বুধবার (১০ আগস্ট) কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, ওড়িশা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট আকারে বর্তমানে ভারতের ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

কক্সবাজারকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের মোট ২৩টি নদীর মধ্যে প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি প্রবাহ এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

ঝালকাঠি জেলার বিষখালী নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বলেশ্বর-পায়রা নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পিরোজপুর জেলার উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর পানি ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে