ভুল চিকিৎসায় সিআইপির মেয়ের চোখ নষ্ট
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভুল চিকিৎসায় সিআইপি আমিনুল হক শামীমের মেয়ে মাহজাবীন হক মাশার চোখের ৩৩ ভাগ রেটিনা চিরতরে নষ্ট হওয়ার অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঢাকার সোবানবাগ এলাকার দীন মো. চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারের চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দীপক নাগকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী মাহজাবীন হক মাশার ছোট ভাই এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. সামিউল হক সাফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানাকে এফআইআরভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এবিএম নুরুজ্জামান খোকন।
মামলা পরিচালনাকারী অন্য আইনজীবীরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র অ্যাডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামান ও পীযুষ কান্তি সরকার।
ভুক্তভোগী মাহজাবীন হক মাশা ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও সিআইপি মো. আমিনুল হক শামীমের বড় মেয়ে। মাশার স্বামী এসএসএফের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।
বাদীর অভিযোগ, গত জুন মাসে মাহজাবীন হক মাশার চোখের সমস্যা হওয়ায় দীন মো. চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দীপক নাগের চিকিৎসা নেন। এ সময় তিনি মাশার চোখে লেজার প্রতিস্থাপন করেন।
কিন্তু লেজার লাগানোর পর চোখে অন্ধকার দেখা শুরু করে মাশা। এই অবস্থায় মাশাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান লেজার স্থাপনের কারণে মাশার চোখের ৩৩ ভাগ রেটিনা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।
পরে মাশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুংগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভুল চিকিৎসার কারণে মাশার চোখের রেটিনার ৩৩ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে।
বাদী সামিউল হক সাফা বলেন, চোখে অতিরিক্ত লেজার লাগানোর কারণে আমার বোনের এত বড় ক্ষতি হয়েছে। আমি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোনো ঘটনা কারো সঙ্গেই আর না ঘটে, একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এটাই আমার প্রত্যাশা।