রাজশাহীতে আ.লীগ নেতার বাসায় গুলির ঘটনায় দুইজন রিমান্ডে

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২২; সময়: ১১:১৯ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে আ.লীগ নেতার বাসায় গুলির ঘটনায় দুইজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে দুইদিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার সকালে রাজশাহীর মহানগর ম্যািেজস্ট্রট-১ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এ আদেশ দেন। নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম জানান, কেনো এ হামলা-তা জানতে পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল। শুনানি শেষে আদালত দুইদিন মঞ্জুর করেছেন। গ্রেফতার ওয়াহিদ মুরাদ জামিল ওরফে লিংকন (৫৬) ও সজল আলী (২৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সেই তথ্য বের করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মহানগরীর মুন্সিডাঙ্গা মহল্লায় বাড়িতে গিয়ে দুই ব্যক্তি তাকে হত্যার চেষ্টা চালান। তাকে হত্যা করতে ৩ রাউন্ড গুলি করে। এরপর যাওয়ার সময় আতঙ্ক ছড়াতে আরও ৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। এছাড়া রাজশাহী কলেজের সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। পরে ওই রাতেই দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়। গ্রেপ্তার ওয়াহিদ মুরাদ জামিল ওরফে লিংকন (৫৬) নগরীর উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরের চার নম্বর সড়কের ১৭৭ নম্বর বাসার চারতলার নিজের ফ্ল্যাটে থাকেন। এই বাসাটির নাম ‘এভারেস্ট হারমনি’।

ধরা পড়ার পর ওয়াহিদ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ‘এভারেস্ট হোমস লিমিটেড’ নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন বলেও দাবি করেছেন। ওয়াহিদের আমেরিকার নাগরিকত্ব আছে বলেও তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।

তার সঙ্গে আটক অন্যজনের নাম সজল আলী (২৫)। তিনি ওয়াহিদের গাড়িচালক, দেহরক্ষী এবং ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। রাতে আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমানকে হত্যার জন্য পিস্তল হাতে বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন ওয়াহিদ। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা তা পুলিশকে বলেননি। আতিকুর রহমান রাজশাহীর সিটিহাট পশুহাটের অন্যতম ইজারাদার। ওয়াহিদের সঙ্গে আগে কখনও কোনদিন দেখাও হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাতে ওয়াহিদ ও সজল আলী আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমানের বাসার সামনে যখন যান তখন ওয়াহিদের হাতে পিস্তল ছিল। তিনি বাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমেই এক রাউন্ড গুলি চালান। তারপর গলির দিকে আরেক রাউন্ড গুলি করেন। শব্দ শুনে তিনতলা থেকে নেমে আসেন আতিকুর রহমান। লোহার ফটকের ভিতর থেকেই বাইরে অপেক্ষমান দুজনকে প্রশ্ন করেন, কী সমস্যা? বাইরে থাকা দুজন তাকে চেনেন না।

পিস্তল হাতে থাকা ব্যক্তি আতিকুর রহমান কালুকেই বলেন, কালুকে পাঠাও। কালু বলেন, ‘আমিই কালু।’ তখনই ওপাশ থেকে তিন রাউন্ড গুলি। লোহার ফটক পেরিয়ে গুলি ভেতরে যেতে পারেনি। তাই অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। বাড়িতে থাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ঘটনার সময়ের ফুটেজে পুরো ঘটনা ধরা পরে।

বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনাটি রহস্যজনক। হামলাকারী ও ভিকটিম কেউ কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন। রিমান্ডে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলার কারণ উৎঘাটন করা হবে বলে তিনি জানান।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে