বাঘায় রাতে দুই বাড়িতে চুরি, হাত-পা বেঁধে টাকা ও স্বর্ণাকার নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২২; সময়: ৫:১৮ অপরাহ্ণ |
বাঘায় রাতে দুই বাড়িতে চুরি, হাত-পা বেঁধে টাকা ও স্বর্ণাকার নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : বাঘায় পৃথক দু’টি বাড়িতে ভোর রাতে ও দিনের বেলায় টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বাড়ির জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যার আগে এক বাড়িতে ঢুকে, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

আরেক বাড়ি থেকে নগদ টাকা নিয়ে গেছে। জানা যায়,রোববার (৭ অগষ্ট ) বিকেল পৌণে ৬ টায় উপজেলার আড়ানী পূর্ব পাড়ার (মাষ্টারপাড়া) দলিল লেখক বাবুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রের হাত- পা ও মুখ বেঁধে টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় স্কুল ছাত্র সামিউল ইসলাম সানি একাই বাড়িতে ছিলেন।

তিনি জানান (সামিউল ইসলাম সানি), গেটের বাইরে থেকে কে বা কারা,দরজায় কড়া নাড়ছিল। দরজা খুলতেই মুখে মাস্ক পরা অপরিচিত ৩জন লোক ভেতরে প্রবেশ করে প্রথমে তার মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তারা হাত-পা বেঁধে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী কামরুন্নাহার শিখা বলেন, ছোট মেয়ের চিকিৎসার জন্য ছেলে সামিউল ইসলাম সানিকে বাড়িতে রেখে বাঘার চন্ডিপুর ডাক্তারের কাছে যান। সন্ধ্যার পর বাড়িতে ফিরে দেখি মুখ, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছেলে ঘরের কোনে পড়ে আছে। তাৎক্ষনিক বিষয়টি স্বামীকে জানানোর পর তিনি বাড়িতে আসেন।

বাবুল আক্তার জানান, ঘটনার দিন তিনি বাঘা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে ছিলেন। খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখেন নগদ ষাট হাজার টাকা,স্বর্ণের দুটি চেইন ও ১টি আংটিসহ দামি কাপড় নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সব মিলে তার প্রায় ২লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। পুলিশকে জানানোর পর তদন্ত করে গেছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভযোগ করেছেন।

অপরদিকে মঙ্গলবার ( ৮ অগষ্ট ) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার দক্ষিন মিলিক বাঘার আশসাদের বাড়িতে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। তার ছেলে শামীম জানান, তিনি বিকাশ ও মোবাইলের ব্যবসায়ী। রাতে দোকান থেকে বাড়িতে ফিরে প্যান্ট খুলে জানালার কাছের র‌্যাকে রাখা ছিল। গরমের কারণে জানালার থাই গ্লাস সরিয়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। খোলা সেই জানালা দিয়ে প্যান্ট বের করে টাকা নিয়ে গেছে। প্যান্টের পকেটে ৫৩ হাজার টাকা ছিল। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।

বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে