আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২; সময়: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ |
আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে

জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক, বাঘা : আর্থিক ও অফিসিয়াল অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ওবাইদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিসে না আসা ,অফিসে থাকলেও অশালীন আচরণ, সিরিয়াল নিয়ে কথা বলাসহ পছন্দমত প্রধান শিক্ষক কিংবা সহকারি শিক্ষক ডেকে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান, তার দপ্তরে প্রয়োজনীয় কাজে গেলে তিন/চার ঘন্টা সময় নিয়ে যেতে হয় । শুধু তাই নয় অফিসের স্টাফদের সাথেও অশালীন আচারণ করেন এই অফিসার। তার অনুপস্থিতিতে কোন কাজে গেলে তাঁর আচরণে অতিষ্ঠ ষ্টাফরাও অনেক সময় শিক্ষকদের সাথে অসদাচারণ করে ফেলেন।

অর্থ কেলেংকারিতে সিদ্ধহস্ত এই কর্মকর্তা : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রত্যয়ন নেয়ার সময় থেকে শুরু হয় অর্থ বাণিজ্যে। প্রত্যেকটা নিয়োগে তার সাথে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করেন না তিনি । বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করার এখতিয়ার থাকলেও তার সাথে চুক্তি না হলে সেটি মানতে চাননা শিক্ষা অফিসার। কালিদাশখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের গঠন করা নিয়োগ বোর্ড বিষয়ে উপ পরিচালক, রাজশাহী অঞ্চল,রাজশাহীর নির্দেশ কিংবা পরামর্শও অমান্য করেছেন তিনি।

কালিদাসখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি,সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী জানান,তার দপ্তরের স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠনের বিষয়ে কথা বললে নানান অজুহাতে নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণে টালবাহানা করেন। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ প্রামানিক জানান, পরে চারঘাট-বাঘা আসনের সংসদ সদস্য ,পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষপে নিয়োগ বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করে দেন।

তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা স্কাউটস কমিটিকে কোন সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। কারণ হিসেবে শিক্ষকরা জানান, পদাধিকারবলে উপজেলা স্কাউটস কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও সহ সভাপতি হবেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার । তাকে সহ-সভাপতি পদে রাখার কারণে অসন্মানিত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন।
এসব বিষয় নিয়ে মহাপরিচালক (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সেই অভিযোগপত্রে সিলমোহরযুক্ত নাম ও বিদ্যালয়ের নামের ওপরে স্বাক্ষর করেছেন ৩১ জন প্রধান শিক্ষক। উপজেলা সোনাদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের আর্থিক ও অফিসিয়াল অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক জানান, অভিযোগ করেও অনিয়ম বন্ধ হয়নি।

শুক্রবার (৫ আগষ্ট) অফিস ছুটির দিন হওয়ায় শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ওবাইদ এর মুঠোফোনে একধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে