রদবদল আসছে মমতার মন্ত্রিসভায়

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২২; সময়: ১২:২৭ অপরাহ্ণ |
রদবদল আসছে মমতার মন্ত্রিসভায়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পরই নড়েচড়ে বসেছে তার দল ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। শোনা গেছে রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের কথা।

সোমবার (১ আগস্ট) দলটির নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ঘোষণা করেন, আগামী বুধবার রদবদল হবে মন্ত্রিসভার। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রীদের শপথগ্রহণের ব্যাপারে জানিয়ে রাজভবনে বার্তাও পাঠানো হয়েছে।

এরপর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলেছে নতুন মুখ নিয়ে জল্পনা। তবে বিষয়টি এখনও পর্যন্ত জল্পনার স্তরেই আছে।

তবে শোনা যাচ্ছে, দল ও মন্ত্রিসভা উভয়কেই শক্তিশালী করে তুলতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত। সেই ক্ষেত্রে চার-পাঁচজনকে দলের কাজে লাগানো ও অন্য নতুন চার-পাঁচজনকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে।

আর নতুন মন্ত্রিসভায় যারা জায়গা পেতে পারেন তাদের মধ্যে বাবুল সুপ্রিয়, তাপস রায়, পার্থ ভৌমিক এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তীর নাম শোনা যাচ্ছে।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই মমতা সমস্ত মন্ত্রীকে সতর্ক করে বলেন, “কেউ এমন কোনও কাজ করবেন না, যাতে মন্ত্রিসভার অসম্মান হয়।”

এই সতর্ক বার্তায় কারও নাম উচ্চারিত না করলেও মমতা যে পার্থের ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন, তা অনেকটা পরিষ্কার। আর এরপর থেকেই স্বচ্ছ ভার্বমূতির নেতাদের নিয়ে ভাবা হচ্ছে আগামীর পথ।

তৃণমূল সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ-দেওয়া এবং বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, প্রবীণ বিধায়ক তাপস রায় এবং উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। নাম শোনা যাচ্ছে হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীরও। এদের নাম সামনে আসার মূল কারণ প্রত্যেকেরই ভাবমূর্তি স্বচ্ছ।

অন্যদিকে, তৃণমূল সূত্রের জানা যাচ্ছে, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী, আদালতের নির্দেশে যার কন্যার স্কুলশিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে। তালিকায় রয়েছেন আরও অন্তত তিন জন মন্ত্রী’র নাম, যারা বাদ পড়বেন ‘পারফরম্যান্স’-এর নিরিখে। তাদের মধ্যে থাকতে পারেন চন্দ্রনাথ সিংহ। থাকতে পারেন সৌমেন দাস মহাপাত্রও। হুগলি জেলা থেকে রত্না দে নাগের বাদ পড়ার সম্ভাবনা।

একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার দুই দাপুটে মন্ত্রীর দফতরও কাটছাঁট হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

আরও জানা যায়, মন্ত্রিসভায় রদবদলের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা সামগ্রিক ভাবে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি আরোপ করতে চাইছেন। অর্থাৎ, যারা দলের কাজ করবেন, তাঁরা সরকারে থাকবেন না। আবার যারা সরকারে মন্ত্রী হিসেবে কাজ করবেন, তারা দলের সাংগঠনিক কাজে থাকবেন না।

প্রসঙ্গত, দলের সর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই নীতি প্রণয়নের কথা বলেছিলেন। সেই অনুযায়ীই এখন পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন শাসক শিবিরের নেতারা। সূত্র-আনন্দবাজার অনলাইন

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে