পুঠিয়ার বেলপুকুরে নাশকতার মামলার আসামী জামাত নেতার হামলায় গৃহবধূ জখম

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২২; সময়: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ার বেলপুকুরে নাশকতার মামলার আসামী জামাত নেতার হামলায় গৃহবধূ জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর দক্ষিন জমিরা গ্রামে শত্রুতার জের ধরে নাশকতার মামলার আসামী জামাত নেতার নেতৃত্বে প্রতিবেশি মোছা: সাবানা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করেছে তারা। সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বেলপুকুর দক্ষিন জামিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত গহবধূ দক্ষিন জামিরা গ্রামের কাউসার হাজীর স্ত্রী। আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর দক্ষিন জামিরা গ্রামের কাউসার হাজী ও তার স্ত্রী মোছা: সাবানা বেগম (৪৫) এর সাথে র্দীঘদিন যাবত বিরোধ চলছিলো প্রতিবেশি নাশকতার মামলার আসামী জামাত নেতা মৃত আজাদের ছেলে মো সাজু ও সাবেক ইউপি সদস্য পিয়ার জানের সাথে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার বেলা ১২ টার দিকে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় কাউছার জাহীর স্ত্রী সাবানা বেগমের। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় দক্ষিন জামিরা গ্রামের মৃত আজাদের ছেলে জামাত নেতা সাজু ও সাবেক ইউপি সদস্য পিয়ার জানের নেতৃত্বে সাজুর ছেলে বিশাল ও নবাবের ছেলে জাহাঙ্গীর চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সাবানা বেগম কে কুপিয়ে জখম করে।

এসময় সাবানার স্বামী কাউছার হাজী স্ত্রীকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে তাকেউ ব্যপক মারপিট করে তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাবানা বেগমকে দ্রুত স্থানিয়রা ও তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে আহত সাবানা বেগম রামেক হাসপাতালের ৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চাইনিজ কুড়ালের কোপে তার ডান পায়ে জখমের জন্য ১৭টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছেন রামেকের ৬ নং ওয়ার্ডের কর্মরত চিকিৎসক।

ভুক্তভোগি কাউছার হাজী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাশকতার মামলার আসামী জামাত নেতা সাজুর নেতৃত্বে আমাদের উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সাজুর ছেলে বিশাল ও জাহাঙ্গীর চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার স্ত্রীকে কোপায়। এ ঘটনায় বেলপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুুুতি চলছে। সেই সাথে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য দাবি জানান তিনি।

এ ঘটনায় জামাত নেতা সাজুর মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় আরএমপি বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দ্রুত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি মনির।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে