৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চায় আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২২; সময়: ৯:১৪ অপরাহ্ণ |
৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চায় আওয়ামী লীগ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের তিনশ আসনে ইভিএমে ভোটের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেইসঙ্গে দলটি নির্বাচনের সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় সব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করার প্রস্তাব করেছে।

রবিবার (৩১ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে ১৫ দফা লিখিত প্রস্তাব করা হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রবিবার (৩১ জুলাই) বিকালে ইসির সঙ্গে বৈঠক করে।

সংলাপে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মনে-প্রাণে ইভিএমে বিশ্বাস করি। চেতনায় ধারণ করি। কোনও বিশেষ এলাকা নয়। দেশের তিনশ আসনে ইভিএমে ভোট হোক, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ দাবি জানাচ্ছি।

সংলাপে নিজেদেরকে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী উল্লেখ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক রেগুলেটরি কমিশন ‘নির্বাচন কমিশন’-কে সর্বাত্মক সহায়তা করবে বলে ইসিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনকে দলীয়করণ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।

দলটি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রেও দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছে, প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী, কোনোভাবেই কোনও দল বা প্রার্থীর প্রতি অনুগত বা কোনোভাবে সম্পর্কযুক্ত হিসেবে পরিচিত বা চিহ্নিত ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না।

এছাড়া আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, কোনও দেশের কূটনীতিক কিংবা দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট দেশের স্বার্থের সংঘাত রয়েছে এমন ব্যক্তিবর্গকে আইনের বাধ্যবাধকতা হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক করা যায় না উল্লেখ করে বলেছে, এই আইনের আওতায় কেবলমাত্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি নির্বাচন পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্য। বিগত সংসদ নির্বাচন এবং ঢাকা সিটি কর করপোরেশন নির্বাচনে এই আইনের কিছু ব্যত্যয় ঘটেছিল, যা আমরা নির্বাচন কমিশনের নজরে এনেছিলাম। এই বিষয়ে আইন, বিধি-বিধান এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে নির্বাচন কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করি।

এদেশে ভোট ডাকাতি, ভোট জালিয়াতি এবং প্রহসনের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ভিকটিম আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে দলটি তার প্রস্তাবে জানায়, আমরা মনে করি, প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি ও ভোট কারচুপি বন্ধ করতে ইভিএমের কোনও বিকল্প নেই। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি এ সব বন্ধ করে একটি টেকসই স্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতি বাস্তবায়ন ইভিএম ব্যবস্থায় সম্ভব। তারা দেশে ইভিএম পদ্ধতিটি জনগণের কাছে অধিকতর জনপ্রিয় এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব করেছে।

বর্তমান ইসির হাতে থাকা এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি ইভিএম মেশিন দিয়ে ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৩ হাজার কেন্দ্রে শতকরা মাত্র ৩১ শতাংশ কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া সম্ভব। এ বিষয়টি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ বলেছে, আগামী নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করতে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে