রাশিয়ায় তুর্কি ড্রোন কারখানা নির্মাণের প্রস্তাব দিলেন পুতিন

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২২; সময়: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ |
রাশিয়ায় তুর্কি ড্রোন কারখানা নির্মাণের প্রস্তাব দিলেন পুতিন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের একটি কারখানা নির্মাণ করেছে তুর্কি ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার। এখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও চাচ্ছেন যে তার দেশে অনুরূপ একটি তুর্কি ড্রোন কারখানা নির্মাণ করা হোক। মঙ্গলবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

সিএনএন তুর্কের মতে, ‘সোমবার দলের এক শীর্ষ বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন যে তেহরানে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সঙ্গে তুর্কি ড্রোন কারখানা নির্মাণের বিষয়ে কথা বলেছেন। এ সময় তুর্কি কোম্পানি বায়কারের সঙ্গে তার আক্রমণকারী ড্রোন তৈরির জন্য একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন।’

তুরস্কের এ ড্রোনগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে, এরদোয়ানকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে তিনি বায়কার কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে চান।

এরদোয়ান বলেছেন, ‘তিনি রাশিয়ায় একটি ড্রোন কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব করেছিলেন, যেভাবে বায়কার সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করছে।’

তবে তুরস্কের বায়কার কোম্পানির এক মুখপাত্র অস্বীকার করেছেন যে সংস্থাটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি কারখানা স্থাপন করেছে। একইসাথে ওই মুখপাত্র রুশ প্রস্তাব সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে জ্ঞাত একটি সূত্র জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি (ড্রোন) কারখানা নির্মাণের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছিল বায়কার কোম্পানি। গত সপ্তাহে বায়কার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হালুক বায়রাখতার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রি করবেন না।

তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘তুরস্ক ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে বিমান চলাচল এবং মহাকাশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এ কারণে ইউক্রেনকে সশস্ত্র ড্রোন প্রযুক্তিতে সহায়তা করে তুরস্ক। এ কারণে আমরা রাশিয়ায় কোনো সামরিক সরজ্ঞাম প্রেরণ বা সরবরাহ করিনি। আমরা কখনই এমন কাজ করব না।

লিবিয়া, সিরিয়া ও নাগোর্নো-কারাবাখের সংঘাতে বেশ কয়েকটি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তুর্কি কোম্পানি বায়কারের বায়রাখতার টিবি-২ ড্রোনের ব্যাপক সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগ পর্যন্ত অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ক্ষমতা এবং অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্বলিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এগুলো ব্যবহার করা হয়নি।

এখন পর্যন্ত এ ড্রোনগুলো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের গভীরে মোতায়েনকৃত রুশ সেনাদের মোকাবেলায় অত্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

গত মাসে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে রুশ আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেন বায়কারের কাছ থেকে ৫০টি সশস্ত্র ড্রোন সংগ্রহ করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে