রাবিতে এভাবেই প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হন প্রভাষক ডা সমীর রায়

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২২; সময়: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ |
রাবিতে এভাবেই প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হন প্রভাষক ডা সমীর রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : এভাবে মাথায় ও হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা খেয়েছেন খুলনার কাজী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. সমীর রায়।

তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজের-২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এখলাছুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়জিদ খান প্রক্সি দিতে এসে আটক হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিৎ করেন রাবি কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ ইউনিটে প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন থেকে মূল পরীক্ষার্থী লিমনের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এখলাসুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের আবাসিক ছাত্র তিনি। এছাড়া জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন আবুল কাশের সন্তান দন্ডপ্রাপ্ত এ শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে বেলা ১১টার দিকে সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন দ্বিতীয় শিফটে প্রক্সি দেয়া অবস্থায় ধরা পড়েন মো. সজিব। দন্ডপ্রাপ্ত এ শিক্ষার্থী ঢাকা জেলাস্থ কেরানিগঞ্জের আব্দুস সালামের সন্তান। তিনি মূল পরীক্ষার্থী তানভীর আহম্মেদের হয়ে প্রক্সি দেন। এছাড়া তৃতীয় শিফটে ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবীন মূল পরীক্ষার্থী ইশরাত জাহনের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে দণ্ড প্রাপ্ত হন।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আজ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রক্সি দেয়ার অভিযোগ তাদের আটক করা হয়। আটকের পড়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেন তারা। ফলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তাদের ১ বছরের দণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় কোন ধরনের জালিয়াতি কিংবা অনৈতিক কাজ করার সুযোগ নেই। এসব দেখভাল করার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি জারি রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা টিম ও বিচক্ শিক্ষকগণ। তাই ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে পাড় পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ সেশনে দ্বিতীয় দিনের মতো এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলমান রয়েছে। এ ইউনিটে লড়ছেন ৬৭ হাজার ২৩৭ জন ভর্তিচ্ছু। ভর্তি পরীক্ষাকে সুশৃঙ্খল ভাবে পারি দিতে সক্রিয় অবস্থান করছেন ১৫ স্তরের নিরাপত্তা টিম। ছাড়া ভর্তি প্রস্তুতি পূর্বেই সকল ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কঠোর ভাবে রোধ করার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে