মিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রকর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর জঘন্য: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২২; সময়: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ |
মিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রকর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর জঘন্য: যুক্তরাষ্ট্র

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মিয়ানমারের চার গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলকর্মী এবং নির্বাচিত নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনাকে ‘জঘন্য’ বলে বর্ণনা করে এর তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের গণতন্ত্রপন্থি নেতাকর্মী ও নির্বাচিত নেতাদের জঘন্যতম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের

‘আমরা জান্তা সরকারকে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করার, অন্যায়ভাবে আটকদের মুক্তি দেওয়ার এবং মিয়ানমারের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

জাপানও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বলেছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ ঘটনা মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি মিয়ানমার জান্তার এই পদক্ষেপকে গভীর উদ্বেগের বিষয় বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন এ ঘটনায় মিয়ানমারে জাতীয় ভাবাবেগ এবং সংঘাত মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।

সোমবার জাতিসংঘও এ ঘটনার সমালোচনা করেছে। সংস্থাটির মানবাধিকার প্রধান মিশেল বাশলে বলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা থেকে বিরত থাকতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বারবার আহ্বান সত্ত্বেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী চার গণতন্ত্রকর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

‘আমি হতাশ। সারাবিশ্ব থেকে আবেদন করা সত্ত্বেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবাধিকারের তোয়াক্কা না করেই এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।’

তিনি বলেন, এই নিষ্ঠুর এবং পশ্চাদপসরণমূলক পদক্ষেপ দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর চলমান দমনমূলক অভিযানের একটি সম্প্রসারণ।

সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, সেনাবাহিনী চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। যার মধ্যে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সাবেক আইনপ্রণেতা ফিও জেয়া থাও এবং গণতন্ত্রকর্মী কিয়াও মিন ইউ, যিনি কো জিমি নামে পরিচিত; তিনিও রয়েছেন।

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতার অপরাধে জানুয়ারিতে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যে বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে দেশটির ক্ষমতা দখল করে।

বাকি দুইজন হ্লা মিও অং ও অং থুরা জাওকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কারণ হল, তারা এমন এক নারীকে হত্যা করেছেন, যিনি সেনাবাহিনীকে তথ্য সংগ্রহ করতেন।

তাদের যখন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তখন জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও হিউম্যান্ট রাইটস গ্রুপ নিন্দা জানিয়েছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে