ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে: এমপি বাদশা

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২২; সময়: ৭:১০ অপরাহ্ণ |
ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে: এমপি বাদশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া উন্নত দেশ সম্ভব নয়। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত। তথ্য প্রযুক্তির প্রতিযোগীতামূলক বিশ্বে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

রবিবার সকালে রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাদ্রাসার পক্ষ থেকে এমপি বাদশাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। পরে মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে আদর্শিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। তবে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির বিশ্বে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন কোনভাবেই পিছিয়ে না পড়ে তাই তাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রতি আরো বেশি মনোযোগ তৈরী করতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নানামুখী দক্ষতা অর্জন করবে। সমাজ ও দেশের উন্নয়নে শক্তিশালী ভূমিকাও রাখতে পারবে।

শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রসঙ্গে টেনে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটছে। খবরের কাগজে দেখতে পাই, কোথাও-কোথাও খোদ সংসদ সদস্যই নাকি শিক্ষককে হকিস্টিক দিয়ে লাঠিপেটা করেছেন! এসব খবর আমাকে আহত করেছে। আমরাও একসময় ছাত্র ছিলাম। ছাত্রজীবনে আমরা শিক্ষা পেয়েছি- শিক্ষকদের সম্মান করতে না পারলে কোনদিন সুশিক্ষিত হওয়া যায় না। শিক্ষকদের প্রতি সম্মানবোধ না থাকলে অর্জিত শিক্ষা ও জ্ঞান দুটোই বৃথা।

তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন অনেক উন্নয়ন করেছে। রাজশাহীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমার বরাদ্দকৃত টাকাও আমি সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি। রাজশাহী এগিয়ে যাচ্ছে, আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

এমপি বাদশা আরো বলেন, এই এলাকাতেই আমার জন্ম। ছোটবেলায় এই মাদ্রাসাটি আমি টিনের ছাউনি হিসেবে দেখেছি। আমি যখন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম- এই মাদ্রাসার সামনেই আমার নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়েছিলা। জনগণের সামনে সেদিন বলেছিলাম, আমি যদি সাংসদ নির্বাচিত হতে পারি; এই মাদ্রাসার চিত্র পাল্টে দিবো। আজকে তাকিয়ে দেখেন, সেদিনের মাদ্রাসা আর আজকের মাদ্রাসায় কতো তফাত!

রাজশাহীর সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার উন্নয়ন হয়েছে। কারণ আমি মনে করি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, গোরস্থান, শ্মশান এসবের উন্নয়ন শুধু উন্নয়নই নয়, একটি মহৎ কাজও বটে।

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে