কাঁটাখালিতে ড্রেন নির্মাণে চাঁদা না পেয়ে প্রকৌশলীর উপর হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর কাঁটাখালি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের শ্যামপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় সরকারি ড্রেন নির্মাণ কাজে চাঁদার টাকা না পেয়ে প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের কর্মচারীদের উপরে হামলা ও পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
শনিবার সকাল ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলাকারিদের বিরুদ্ধে কাঁটাখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এমএস মনির ট্রেডার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৩০ টি পৌরসভায় ওয়াল্ড ব্যাংককের অর্থায়ানে রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের টেন্ডারে কাঁটাখালি পৌরসভার দেওয়ানপাড়া থেকে শ্যামপুর বালু ঘাট পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে গত এক মাস থেকে। কাজটি করছে এমএস মনির ট্রেডার্স নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
শনিবার সকাল ১১ টার দিকে এমএস মনির ট্রেডার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের তদারকিতে ড্রেন নির্মাণ কাজ করছিলেন। এসময় ওই এলাকার মকসেদ আলীর ছেলে কাউসার (২৮) ও নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফ (৩৫) প্রকৌশলীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধ করার হুমকি দেয়।
এসময় তাদের চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা এমএস মনির ট্রেডার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের উপরে হামলা চালায়। এসময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাপলাইয়ার ওই এলাকার মৃত মুসলেমের ছেলে আনারুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তার উপরেও হামলা চালায় তারা। এসময় তারা নির্মাণকাজে ভাংচুর চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
হামলাকারি কাউসার ও আরিফের বিরুদ্ধে কাটাখালি থানায় আসামী ছিনতাই ও পুলিশের উপর হামলার মামলায় রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।
সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার বলেন, জনগনের কল্যাণে সরকারি ড্রেন নির্মাণে কাজ করছিলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীসহ শ্রমিক কর্মচারিরা। এসময় তাদের উপরে হামলা ও সরকারি কাজে বাধা এবং নির্মাণ কাজ ভাংচুর করে করা হয়েছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ।
এ বিষয় কাঁটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান জানান, সরকারিকাজে বাধা ও ভাংচুর, চাঁদাদাবি এবং প্রকৌশলীর উপরে হামলার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি।