স্পেনে স্মরণকালের ভয়াবহ দাবদাহ

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২২; সময়: ১২:৩৫ অপরাহ্ণ |
স্পেনে স্মরণকালের ভয়াবহ দাবদাহ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : স্পেনজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। স্মরণকালের ভয়াবহ গরমে নাকাল সাধারণ মানুষ ক্লান্তি দূর করতে ও কিছুটা স্বস্তির আশায় সময় কাটাচ্ছেন মাদ্রিদের বিভিন্ন পার্কে। খবর আল-জাজিরা।

মাদ্রিদের সবচেয়ে দীর্ঘতম পার্ক ‘রিও মানসানা’। পরিপাটি পরিচ্ছন্ন হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের জায়গা এটি। বাঙালি পাড়া বলে খ্যাত ‘লাভাপিয়েস’-এর খুব কাছাকাছি হওয়ায় অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি সুযোগ পেলেই ঘুরতে আসেন এখানে। বিভিন্ন সময়ে পার্কটিতে বনভোজন কিংবা পারিবারিক নানা অনুষ্ঠান হয়।

এক নাগরিক বলেন, ‘এখানে অনেক গরম, মাদ্রিদের আশপাশে কোনো সমুদ্র না থাকায় এখানে এসেছি কিছুটা স্বস্তি নিতে। এখানে ছোট ছোট ঝর্না আছে, সেই ঝর্নার পানিতে ঘা ভিজিয়ে কিছুটা শান্তি পাচ্ছি।’

পার্কের আশপাশেই রয়েছে বাঙালিদের বিভিন্ন খাবারের দোকান, রেস্তোরাঁসহ অনেক কিছু। গরমের কারণে পর্যটক সমাগম বাড়ায় বেচাকেনা ভালো হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

স্পেনজুড়ে চলমান এ গরমের তীব্রতা কমছে না। এ পরিস্থিতির জন্য বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন পরিবেশবাদীরা ।

এবিসি নিউজের খবর বলছে, ১০ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত দাবদাহে স্পেনে ৫১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর মধ্যে ১৭৩টি রেকর্ড করা হয়েছে শুক্রবার।

এ সময় জলবায়ু জরুরি অবস্থাকে চরম বাস্তবতা বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চলে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে স্পেনও আক্রান্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছুঁয়েছে। এতে কয়েক ডজন দাবানল দেখা দিয়েছে।

আগুন ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। দাবানলে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন অগ্নিনির্বাপণকর্মী, অন্যজন মেষপালক। উত্তর-পশ্চিম স্পেনে দাবানলে আটকা পড়েন ওই রাখাল।

ইউরোপীয় দেশটিতে এখন পর্যন্ত যত দাবদাহ হয়েছে, তার মধ্যে এটি ছিল অন্যতম তীব্র। ৯ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত এই দাবদাহের স্থায়িত্ব। দেশটির আবহাওয়া সংস্থা এইএমইটি জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালে আধুনিক রেকর্ড রাখার পর থেকে ভৌগোলিক বিস্তৃতি ও স্থায়িত্বের হিসাবে এটি ছিল স্পেনের তৃতীয় তীব্র দাবদাহ।

এর আগে ২০১৫ সালে স্পেনে একটানা ২৬ দিন দাবদাহ বইছিল। আর ২০০৩ সালের দাবদাহ ছিল ১৬ দিন। এদিকে ৭ থেকে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে পর্তুগালে ৬৫৯ জনের দাবদাহজনিত মৃত্যু হয়েছে। আর দাবানলের কারণে ফ্রান্সেও ১৪ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে