বাঘায় স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রীর আত্নহত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২২; সময়: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ |
বাঘায় স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রীর আত্নহত্যার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বিষপাণে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছিল এক গৃহবধু। স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধুকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা করানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে গৃহবধূ। গত শনিবার রাতে সে আত্নহত্যার চেষ্টা করে। গৃহবধু রুমি বাঘা পৌর সভার মশিদপুর গ্রামের খায়েজ উদ্দীনের মেয়ে।

রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যার আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আত্নঃ বিভাগে গিয়ে দেখা যায় মেয়ের অবস্থা দেখে বিষন্ন মনে পাশে বসে গৃহবধু রুমির মা মাবিয়া বেগম, অনার্স পড়ুয়া মেয়ে রিতু। ছোট ছেলে আশিক ছোটাছুটি করছে মায়ের চিকিৎসার ঔষধ আনা নেওয়ার কাজে। কিন্ত সেখানে আসেননি গৃহবধু রুমির স্বামী আনিসুর রহমান।

গৃহবধুর মা জানান, বিশ বছর আগে ৪০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে নাটোরের লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর রহমানের সাথে বিয়ে দেন তার একমাত্র মেয়ে রুমিকে। বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেছিল আনিসুর রহমান। অভাবের সংসারে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এর পর থেকে কারণে অকারণে মাঝে মধ্যেই মেয়েকে নির্যাতন করতো জামাই। শেষ মেষ বাড়ি ভিটার ২কাঠা জমি বিক্রির ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার পুরোটাই মেয়ে-জামাইকে দিয়েছেন। মেয়ের সুখ শান্তির জন্য নিজের জমি বলতে কিছুই রাখেননি। এর পরেও নির্যাতন থামেনি।

গত শনিবার রাতে স্বামী কর্তৃক নির্যাতনে অতিষ্ঠি হয়ে বিষপাণে আত্নহত্যার চেষ্টা করে অশান্তি দুর করতে চেয়েছিল তার মেয়ে। সংবাদ পেয়ে রাত পৗণে ৮টায় বাঘা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অচেতনহীন থাকায় গৃহবধুর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মেয়ে রিতু কি বলবেন ভেবে পাচ্ছিলেননা। তবে এতোটুকু বলেছে,অনেক কিছু সহ্য করে মা সংসার করছে। বাবার বেশি বাড়াবাড়িতে কিছু বলতে গেলেই গালাগালি করে।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুবেল আহম্মেদ জানান,পাকস্থলি ধৌত করার পর তাকে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। তবে ২৪ ঘন্টা পার না হলে ভালো মন্দ কিছুৃ বলা যাচ্ছেনা।

অভিযোগ অস্বীকার করে গৃহবধূর স্বামী আনিসুর রহমান বলেন, বিয়ের পর থেকে সে আমার কথামতো চলাচল করে না। নিজের ইচ্ছামতো চলতে চায়। এনিয়ে সংসারে প্রায়শঃ বাক বিতন্ডা হয়। বিষপাণ করার বিষয়টি রহস্যজনক। জমি বিক্রি করে নিজের এলাকায় জমি নিয়েছি। সব মিলে মনে হচ্ছে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে