কোরবানিতে প্রান্তিক খামারে পোষা পশুর চাহিদা বেশি

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২২; সময়: ৫:১১ অপরাহ্ণ |
কোরবানিতে প্রান্তিক খামারে পোষা পশুর চাহিদা বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম : নাটোরের বড়াইগ্রামে এবারের কোরবানির বাজারে বাণিজ্যিক খামের পোষার চেয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রান্তিক খামারে গৃহপালিত গরু-ছাগলের চাহিদা বেশি । হাটে না গিয়ে তাই বাড়ি থেকেই গৃহপালিত পশু কিনছেনা ক্রেতারা।

বুধবার সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে দেখা যায় এমন চিত্র। মাঝগাঁও ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে আকছেদ আলী জানান, তার মামাতো ভাই কলেজ শিক্ষক আতিকুর রহমান মৃধা নিজেরসহ তিনটি গরু এবং ২টি খাশি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই মোতাবেক সকালে মানিকপুর গ্রামের নওশাদের বাড়িতে পোষা একটি গরু ৮৭ হাজার, মুঞ্জিল প্রামাণিকের একটি গরু ৯৭ হাজার এবং জগেন্দ্রনাথ সরকারের একটি গরু ৯০ হাজার টাকায় কেনা হলো।

আতিকুর রহমান মৃধা বলেন, প্রান্তিক খামারীদের পশু কেনার একাধিক সুবিধা আছে। তাই দাম যাই হোক কেনায় শন্তুষ্টি আছে। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে কেনা পশু ঈদের দিন নেয়া যায়, প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়। পশু হাটের দালালদের (মধ্যসত্বভোগী) এবং অতিরিক্ত হাসিলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা উমিরুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়িতে রাখার জায়গা নাই। আমিও বাড়ি থেকেই গরু কিনেছি। প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো পশু নিরাপদে কেনা যায়। তাই গ্রামেই আমার আগ্রহ বেশি।

মানিকপুর গ্রামের জগেন্দ্রনাথ বলেন, কোরবানি উপলক্ষে ১-২টা খাশি আর গরু পোষা হয় । মাঠ থেকে ঘাস কেটে খাওয়ায়। এখন বাড়ি থেকেই এক কলেজ শিক্ষক কিনে নিলেন ৯০ হাজার টাকায় আর খাশিটি ১৮ হাজার টাকায়। চাহিদা মতই দাম পেয়েছি। হাটের কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে জানা যায়, এবার বড়াইগ্রামে কোরবানির জন্য ৩৩ হাজার পশুর চাহিদার বিপরিতে ৩৭ হাজার ৫১০টি পশু প্রস্তুত করা হয়। পশুর মধ্যে ষাড় ১৭ হাজার ৫৮১টি, বদল ৪৮০টি, গাভী ৮৭৫টি, মহিষ ৮৫টি, ছাগল ১৬ হাজার ৩২০টি এবং ভেড়া রয়েছে ২ হাজার ১৬৯টি। এরমধ্যে বাণ্যিজিক ভাবে পোষা পশুর সংখ্যা ১২ হাজারের মতো অবশিষ্ট সকল পশু বিচ্ছিন্ন ভাবে বাড়িতে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পোষা।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমির হামজা রানা জানান, কোরবানির সকল প্রাণিকেই নিরাপদ প্রাণি খাবার এবং ক্ষতিকর ট্রেরয়েড মুক্ত ভাবে লালন-পালতে পরামর্শ ও তদারকি করা হয়েছে। এরবাইরে বাড়িতে পোষা প্রাণি গুলোকে শতভাগ প্রকৃতিক খাবার খাইয়ে পোষা হয়েছে।

এ জন্যই ক্রেতাসাধারণ বিচ্ছিন্ন ভাবে বাড়িতে পোষা পশুর প্রতি আগ্রহ বেশি দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৭০ ভাগ কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, এবার অনলাইনেও ভালো বেচা-কেনা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে