পোরশায় এনজিও সাকোর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২২; সময়: ৪:৫১ অপরাহ্ণ |
পোরশায় এনজিও সাকোর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, পোরশা : অবৈধভাবে পরিচালিত হওয়ার অভিযোগে বে-সরকারি সংস্থা সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কমিউিনিটি অর্গানাইজেশন (সাকো) এর সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সংস্থাটির সরাইগাছি মোড়ে অবস্থিত প্রধান কার্যালয় সহ উপজেলায় পরিচালিত আরো কয়েকটি শাখা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্য, অভিযোগ ও এনজিও শাখার দেওয়া পত্রের আলোকে ভূয়া সনদে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালত হওয়ার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানের সকল ফাইল, রেজিষ্টার জব্দ করা হয় এবং স্থানীয় বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় তাদের পরিচালিত ব্যাংক একাউন্টে লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দিয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার জানান, সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কমিউিনিটি অর্গানাইজেশন (সাকো) যার এমআরএ সনদ নং- ২১১১২-০০৩৬৭-০০৮৩১ নামে বরগুনার একটি প্রতিষ্ঠান আছে। সম্প্রতি উপজেলার সরাইগাছির জহিরুল ইসলাম জহির নামে এক ব্যক্তি বরগুনার ঐ প্রতিষ্ঠানটির এমআরএ সনদ ব্যবহার করে নওগাঁ জেলার পোরশায় প্রধান শাখা কার্যালয় এবং কয়েকটি শাখা কার্যালয় স্থাপন করে ক্ষুদ্র ঋন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে সাকো বরগুনার নির্বাহী পরিচালক ফকরুল আলম নওগাঁ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের এনজিও শাখা তদন্তপুর্বক সংস্থাটির পোরশা সরাইগাছি মোড়ে স্থাপিত কার্যালয়ে ব্যবহৃত কাগজপত্র সঠিক নয় মর্মে সাকোর প্রধান কার্যালয় সহ সকল শাখা কার্যালয় বন্ধের জন্য আামাদের নির্দেশ প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার প্রধান কার্যালয় সহ উপজেলায় কার্যরত অন্যান্য শাখা কার্যালয় গুলি আমরা বন্ধ করে দিয়েছি বলে তিনি জানান। এব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরো জানান, আমাদের উপজেলায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকে সাকোর যে সকল একাউন্ট রয়েছে সেগুলো সহ জহিরুলের ব্যক্তিগত একাউন্টে লেনদেন বন্ধের জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমানতকারীরা যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য না হয় সে জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের কাজ করতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে উপজেলা সমবায় অফিসার, সমাজসেবা অফিসার ও যুব উন্নয়ন অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাতে করে ক্ষতিগ্রস্থ্য আমানতকারীদের আমানত ফেরত প্রদানের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কমিউিনিটি অর্গানাইজেশন (সাকো) বরগুনার নির্বাহী পরিচালক ফকরুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠানের নাম ও সনদ ব্যবহার করে পোরশার সরাইগাছি মোড়ে প্রধান কার্যালয় করে সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছিল।

এ বিষয়ে জেনে এর প্রমানপত্র নিয়ে তিনি এমআরএ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমআরএ কার্যালয় ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বলে তিনি জানান।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে