নওগাঁয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা কারী সেই সংস্থাটি পেল সরকারি নিবন্ধন

প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২২; সময়: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ |
নওগাঁয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা কারী সেই সংস্থাটি পেল সরকারি নিবন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, পত্নীতলা : নওগাঁর পোরশায় মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়কে পৃষঠপোশকতা দিয়ে পরিচালনাকারী মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা” টি সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীণে জেলা সমাজ সেবা কতৃক নিবন্ধনদিত হয়েছে বুধবার ( ০৬ জুলাই) নওগাঁ জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ-সম্পাদক মোঃ মওদুদ আহম্মেদের হাতে এর নিবন্ধন সনদ পত্র তুলে দেন।

যার নিবন্ধন নং নওগাঁ ১২১৮/২০২২। সরকারী নিবন্ধন পাওয়ায় সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মওদুদ আহম্মেদ জেলা সমাজ সেবা অফিসার নুর মোহাম্মদ ও উপজেলা সমাজ সেবার ভারপ্রাপ্ত অফিসার তৌফিক রহমান সহ যারা এ কাজে সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেন এত দিন এ বিদ্যালয়টি অন্য একটি প্রতিবন্ধী সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হত, অনেক অসুবিধা হয়েছে এখন থেকে বিদ্যালয়টি খুব ভালভাবে পরিচালিত হবে সেবা ও শিক্ষার মান আরও উন্নয়ন হবে আশা করছি।

মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থাটি এলাকায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজ পরিচালনা করে থাকেন তার মধ্য প্রধান কর্মসূচী হলো মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টিকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালিত করা।

বিদ্যালয়ের নাম মোবারক হোসেনর প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলা সদরের কপালীর মোড়ে এই বিদ্যালয়টির অবস্থান। পিতার প্রতি শ্রদ্ধা আর বিশেষ চাহিদাসম্পূর্ন এসব ছেলেমেয়েদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা থেকে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেন স্থানীয় মোঃ শাহজাহান আলী। তিনি স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর পিতার নাম মৃত মোবারক হোসেন। পিতার নামে এই বিদ্যালয়টি’র নামকরন করেন। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২২৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১১ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১১৪ জন। এদের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধী’র মোট সংখ্যা ৪৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২০ জন ও ছাত্রী ২৭ জন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩৭ জন ও ছাত্রী ৩৩ জন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ জন ও ছাত্রী ১২ জন। বাকপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ৪০।

এর মধ্যে ছঅত্র ২১ জন ও ছাত্রী ১৯ জন। ডাউন সিনড্রম শিক্ষার্থী রয়েছে ৪ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৩ জন ও ছাত্রী ১ জন। সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী’র মোট সংখ্যা ৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্র জন ও ছাত্রী ১ জন। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৫ জন এবং ছাত্রী ২১ জন। এই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা করানো হয়। ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে কোন বেতন নেয়া হয় না। সম্পূর্ন বিনা বেতনে পড়াশুনা করানো হয়। প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেনের আেিরক ছেলে মওদুদ আহম্মেদ জানান এই স্কুলে মোট ১১ জন শিক্ষক রয়েছেন। কেউ কোন বেতন গ্রহন করেন না। সম্পূর্ন স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা করেন।

পড়াশুনা ছাড়াও প্রতিবন্ধী এসব ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে অবস্থানকালীন সময়ে যাবতীয় সেবা প্রদান করে থাকেন। প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শাহজাহান আলী জানান তাঁর পিতা মৃত মোবারক হোসেন ছিলেণ একজন শিক্ষানুরাগী। তারর প্রতি শ্রদ্ধা এবং প্রতিবন্ধীদের প্রতি একান্ত ভালোবাসা থেকেই এই বিদ্যারয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, জেলা প্রশাসন এবং পোরশা উপজেলা প্রশাসন অবকাঠামোগত কিছু সহযোগিতা করেছেন।

বাঁকী যাবতীয় খরচ মোঃ শাহজাহান আলীর পরিবার থেকে সংকুলান করা হয়। শিক্ষকদের প্রত্যাশা এক সময় এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হবে এবং সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। এই আশায় বুক বেঁধে বর্তমানে বেতনসহ কোন সুযোগ সুবিধা ছাড়াই শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে