রাণীনগরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২২; সময়: ৫:২০ অপরাহ্ণ |
রাণীনগরে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর : নওগাঁর রাণীনগরে পল্লীবিদ্যুতের ঘণ ঘণ লোড শেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া লোড শেডিংয়ের কারনে নানান ধরণের কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলা বাসিকে। অনেকেই ক্ষোভ ঝাড়ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।তবে কর্মকর্তারা বলছেন,প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় প্রায় অর্ধেক পরিমান সরবরাহ পাওয়ায় কিছুটা লোড শেডিং হচ্ছে।

নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর জোনাল অফিস সুত্রে জানাগেছে, রাণীনগর উপজেলায় বর্তমানে আবাসিক,বানিজ্যিক ও শিল্প-কলকারখানাসহ প্রায় ৫৯হাজার ৫০০জন গ্রাহক রয়েছেন।

গ্রাহকরা বলছেন, গত প্রায় দুইমাস ধরে এক থেকে দুই ঘন্টা পর পর বিদ্যুৎ চলে যায় আবার এক ঘন্টা পর আসে। এতে ব্যবসা বানিজ্যসহ বিভিন্ন কাজকর্ম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া ভ্যাপসা গড়মেও অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে সাধারণ মানুষ।
লোড শেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে আবাদপুকুর বাজারের রমজান মারুফ তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন“বিদ্যুৎখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পরেও যদি বিরামহীন লোডশেডিং চলতেই থাকে তাহলে এই উন্নতির সুবিধাটা কোথায় ?

বোদলা গ্রামের সাইদুর রহমান তিনি লিখেছেন প্রশঙ্গ রাণীনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি রাণীনগর। লোড শেডিং হতেই পারে কিন্তু একদম নামাজের সময় এটা কেমন কথা? তাতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে মনে করি। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি”। রাণীনগর উপজেলা সদরের হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম লিখেছেন“ইরির মৌসুমে এতো লোডশেডিং থাকেনা,অথচ আষাঢ় মাসে বিদ্যুৎ এর এতো লোড শেডিং ? গত কয়েক দিন ধরে রাণীনগরে খুব ভেলকিবাজী চলছে।

রাণীনগর বাজারে অনলাইনে জমি খারিজের (নামজারি) আবেদন করতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন আবেদন থেকে শুরু করে অসংখ্য কাজ অনলাইনে করতে হচ্ছে। যে কাজ করতে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার কারনে দুই ঘন্টায়েও শেষ করতে পারছিনা। তিনি নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন।

কুজাইল বাজারের “বাংলাদেশ ওয়েলডিং ওয়ার্কশপ” কারখানার মালিক সম্রাট হোসেন বলেন, প্িরতদিনই বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে রাতে প্রায় ৪/৫বার করে বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করছে। এতে ব্যবসায়ীকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ্য হতে হচ্ছে।

নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আকিয়াব হোসেন বলেন,রাণীনগর উপজেলায় গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় ১২/১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেখানে আমরা সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র ৬/৭মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফলে কিছুটা লোড শেডিং হচ্ছে।

এছাড়া অনেক সময় লাইনের কিছু কাজ কর্ম করতে গিয়ে বন্ধ রাখতে হয়। এতে করেও ওই ফিডার এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। আবার অনেক সময় মেইন লাইন বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের লাইনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতী স্বাভাবিক হতে পারে তা বলা যাচ্ছেনা বলে জানান তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে