শুভ জন্মদিন বাংলা চলচ্চিত্রের অনিন্দ্য সুন্দরী জয়া

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২২; সময়: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ |
খবর > বিনোদন
শুভ জন্মদিন বাংলা চলচ্চিত্রের অনিন্দ্য সুন্দরী জয়া

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা সম্প্রতি যাদের বিবেচনা করেন, এদের মধ্যে জয়া আহসান অন্যতম। কেনই বা হবেন না, ডুবসাঁতারের রেণুকা, গেরিলার বিলকিস বানু, রাজকাহিনীর রুবিনা, দেবীর রানু, ক্রিসক্রসের মিসেস সেন বা পদ্মাকে অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে তিনি যতটা যত্নে সেলুলয়েড পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছেন, তা অন্য করো পক্ষে সম্ভবপর হতো কিনা, দর্শকদের জানা নেই।

জয়া আহসান অনিন্দ্য সুন্দরী এবং চিরসবুজ এক অভিনেত্রী। বয়সকে হার মানিয়ে ব্যক্তিত্ব ও রুচিশীল পোশাকের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন এপার-ওপার দু’বাংলাতেই। আজ এই গুণী অভিনেত্রীর জন্মদিন।

১ জুলাই গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন জয়া আহসান। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ এবং মা রেহানা মাসউদ ছিলেন একজন শিক্ষিকা। তারা দুই বোন এক ভাই। অভিনয় শুরুর আগে নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন জয়া।

২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে গুণী এই অভিনেত্রীর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি বরাবরই সময় নিয়ে সিনেমা করেছেন। যার ফলে তার একটি সিনেমা থেকে অন্য সিনেমার মধ্যকার সময় বেশ লম্বা। ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার পর ছয় বছর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় সিনেমায় কাজ করেন তিনি। সেটি ছিল নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’।

প্রথম দুটি সিনেমায় জয়া তার অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুললেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। ২০১১ সালে জনপ্রিয়তা আর প্রশংসা সব একসঙ্গে নিজের করে নেন জয়া। সে বছর তিনি তানিম নূর পরিচালিত ‘ফিরে এসো বেহুলা’ এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত ‘গেরিলায়’ অভিনয় করেন। এর মধ্যে ‘গেরিলা’ তাকে এনে দেয় দারুণ জনপ্রিয়তা। এ সিনেমায় অভিনয় নৈপূণ্যে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন জয়া।

‘গেরিলা’র পর কলকাতার নির্মাতা-প্রযোজকদেরও নজরে আসেন জয়া আহসান। সেই সুবাদে তিনি টালিউডেও কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে তরুণ নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ সিনেমায় কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে অভিনয় করে কলকাতায়ও আলোচিত হন।

জয়ার অর্জনের ঝুঁলিতে রয়েছে এপার-ওপার বাংলার একঝাঁক পুরস্কার। অভিনয়ের দক্ষতায় জয়া যেমন মুগ্ধ করেছেন সবাইকে, তেমনি ভারী হয়েছে তার পুরস্কারের পাল্লা। এ পর্যন্ত তিনি চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুবার বাচসাস পুরস্কার, সাতবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, দুবার ভারতের ফিল্মফেয়ার এবং একবার টেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়া মনোনয়নও পেয়েছেন অসংখ্যবার।

ব্যক্তিজীবনে প্রাণিপ্রেমীও জয়া। আর এজন্য তিনি পেয়েছেন সম্মাননাও। দুই বাংলায় অসামান্য জনপ্রিয়তা ও সাফল্য অর্জন করা এই অভিনেত্রীর জন্মদিন আজ। তবে জয়ার বয়স যেন আজও আটকে আছে তার সৌন্দর্যে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে