জুমার দিনের কিছু সুন্নাত আমল
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শুক্রবারকে সপ্তাহের ঈদের দিন বলা হয়। এ দিনের গুরুত্ব ইসলামে অনেক বেশি। বিশেষ করে এ দিনে রয়েছে জুমার নামাজ।
মূলত এ দিনে পুরো শরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা মুস্তাহাব। অবাঞ্চিত লোম ইত্যাদি থেকে মুক্ত হওয়ার গুরুত্ব রয়েছে। হাত ও পায়ের নখ যে কোনো দিন কর্তন করা যায়। তবে শুক্রবারে কাটা মুস্তাহাব।
রাসুল ( সা.) বলেছেন, দুনিয়াতে মানুষের খুশির দিন তিনটি। ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং জুমার দিন। এ দিন গরিবের হজের দিন। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনে মুমিন মুসলমানের রয়েছে কিছু করণীয় সুন্নাত কাজ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে-
>>> জুমআর দিন নখ কাটা এবং গোঁফ ছাঁটা। (মিশকাত)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি জুমা বারে নখ কর্তন করবে, আল্লাহ তায়ালা অপর জুমুআহ পর্যন্ত বরং এর চেয়ে তিনদিন অধিককাল পর্যন্ত তাকে বালামুসিবত থেকে হেফাজতে রাখবেন।
অর্থাৎ যে ব্যক্তি জুমুআহ বারে নখ কর্তন করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে দশ দিন পর্যন্ত নিজ হেফাজতে রাখবেন। (ফাতাওয়ায়ে শামী-৬/৪০৫)
হাতের নখ কাটার সুন্নাত নিয়ম-
ডান হাত : প্রথমে ডান হাতের শাহাদাত বা তজ্জনী আঙ্গুল, তারপর মধ্যমা, তারপর অনামিক এবং তারপর কনিষ্ঠ আঙ্গুলের নখ কাঁটা।
বাম হাত : বাম হাতের কনিষ্ঠ, তারপর অনামিকা, তারপর মধ্যমা, তারপর শাহাদাত, তারপর বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং সর্বশেষ ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ কাটা।
পায়ের নখ কাটার নিয়ম-
ডান পা : ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে শুরু করে বৃদ্ধাঙ্গুলিতে শেষ করা।
বাম পা : বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি থেকে শুরু করে কনিষ্ঠাঙ্গুলিতে এসে শেষ করা। (শামায়েলে তিরমিজি)
>>> জুমার দিন জামা-কাপড় ধোয়া এবং শরীর পাক-পরিষ্কার করে গোসল করা। (আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ)
>>> জুমার দিন জুমার নামাজের উদ্দেশ্যে মিসওয়াক করা এবং গোসল করা। (বুখারি)
>>> জুমার দিন নামাজের উদ্দেশ্যে সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারি)
>>> জুমার দিন নামাজের জন্য উত্তম পোশাক পরিধান করা। (আবু দাউদ)
>>> জুমার দিন আগে-ভাগে প্রস্তুতি গ্রহণ করে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া। (আবু দাউদ)
>>> শরীরে অযাচিত (বগল ও নাভির নিচে) লোম পরিষ্কার করা।
সুতরাং আল্লাহ তায়ালা উম্মাতে মুসলিমাকে উপরোক্ত কাজগুলো নিয়মিতভাবে আদায় করে সুন্নাতের উপর পরিপূর্ণ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।