কাউন্টারের টিকিট কালোবাজারি হওয়ার সুযোগ নেই

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২২; সময়: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ |
কাউন্টারের টিকিট কালোবাজারি হওয়ার সুযোগ নেই

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেছেন, কাউন্টারের টিকিট কালোবাজারি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রেলপথ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য এজেন্সি কাউন্টারের ভেতরে তদারকি করছে। ১০ জন অফিসার রয়েছেন কাউন্টারের ভেতরে সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য।

শুক্রবার (১ জুলাই) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ঈদ যাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সবাই পাবে না। টিকিটের চেয়ে টিকিট প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। অনলাইনে টিকিট আছে ১৩ হাজার কিন্তু দেখা যায় একসঙ্গে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ হিট করছে টিকিটের জন্য। এছাড়া একটি টিকিটও কালোবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, গতকাল থেকেই টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই মানুষের ভিড় শুরু হয়েছে। তাই আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম যাত্রীদের চাপ বাড়বে। আগামীকাল আরও ভিড় হতে পারে কাউন্টারগুলোতে। টিকিট প্রত্যাশীদের সংখ্যা অনেক বেশি।

অনলাইনে যাত্রীদের টিকিট না পাওয়ার বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, সহজ থেকে আমরা যে ব্যাখ্যাটা পেয়েছি তা হলো, আজ সকালে ১৩ হাজার টিকিটের জন্য সাড়ে চার লাখ টিকিট প্রত্যাশী সার্ভারে প্রবেশ করেছে। ১৩ হাজার মানুষই কিন্তু টিকিট পাবে বাকিরা টিকিট পাবে না। অধিকাংশ লোকই যেহেতু টিকিট পাবে না অভিযোগটা তাদেরই থাকবে। আমি নিজেও সকালে চেষ্টা করে দেখেছি টিকিট কাটতে পারিনি। একসঙ্গ এত লোক টিকিট চাইলে তো আর পাওয়া সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, টিকিট সংখ্যা যেহেতু নির্দিষ্ট। টিকিট বিক্রি হয়ে গেলে ১০ হাজার লোক থাকলেও সেখানে কেউ আর টিকিট পাবে না। যারা টিকিট পাবেন না তাদের অভিযোগগুলো থেকেই যাবে।

টিকেট কালোবাজারি বিষয়ে তিনি বলেন, টিকেট যার, ভ্রমণ তার। এই নীতিতে আমরা গতবার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছি। এতে করে টিকেট কালোবাজারির কোনো খবর পাইনি। এবারও কালোবাজারি রোধ হবে।

গতবার সহজে টিকিট কালোবাজারি বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্তগুলো নেয় আমরা সেগুলোর বাস্তবায়ন করি। গতবার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটার ব্যাখ্যা দিয়েছে সহজ ডটকম।

তিনি বলেন, ১ জুলাই দেওয়া হচ্ছে ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট, ২ জুলাই দেওয়া হবে ৬ জুলাইয়ের টিকিট, ৩ জুলাই দেওয়া হবে ৭ জুলাইয়ের টিকিট, ৪ জুলাই দেওয়া হবে ৮ জুলাইয়ের টিকিট এবং ৫ জুলাই দেওয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।

এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। ওই দিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই দেওয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ১০ জুলাই ঈদ হলে ১১ জুলাই সীমিত কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। তবে ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলাচল করবে।

স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ঈদ যাত্রায় ট্রেনের প্রতিদিন ২৬ হাজার ৭২৯টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীসহ মোট সাতটি জায়গা থেকে সকাল ৮ টায় একযোগে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। জয়দেবপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ফুলবাড়িয়া, ঢাকা কমলাপুর, এবং কমলাপুরের আরেকটি জায়গা নারায়ণগঞ্জ শহরতলী থেকে ৩৭ টি আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

অনলাইনে অর্ধেক টিকিট এবং অর্ধেক টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে