খুলনায় হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২; সময়: ১:৩১ অপরাহ্ণ |
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর খুলনার আলোচিত মু‌ঞ্জির মাস্টার হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার জ‌রিমানা, অনাদা‌য়ে আরো ৬ মা‌সের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্প‌তিবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন।

খানজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন মু‌ঞ্জির।

এ হত্যাকা‌ণ্ডের বিস্ফোরক অং‌শে ঐ দুই আসা‌মিকে ৭ বছ‌রের সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জ‌রিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মা‌সের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। রায় ঘোষণার সময় আসা‌মিরা আদাল‌তে উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কতিপয় নেতা মুঞ্জির মাস্টারের কাছে চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় পূর্ব বাংলার কিছু নেতা। তাকে হত্যার করারও হুমকি দেয় ঐ নেতারা।

এ সংবাদ জানতে পেরে মুঞ্জির মাস্টার স্থানীয় সাংবাদিক মনিরকে বিষয়টি অবগত করেন। মনির বিভিন্ন সভা ও সমাবেশে পূর্ব বাংলার নেতাদের নাম উল্লেখ করে বক্তব্য দিতে থাকে। এরপর শুরু হয় তাকে হত্যার পরিকল্পনা।

২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। রাত ৮টার দিকে মুঞ্জির মাস্টার মাত্তমডাঙ্গা যুব সংঘের ভেতরে গিয়ে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রধান ফটক দিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী যুব সংঘের ভেতরে প্রবেশ করে।

কিছু বুঝে ওঠার আগে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। এরমধ্যে দু’টি বোমা মুঞ্জির মাস্টারের হাতে পিঠে লাগে।

মারাত্মক জখম অবস্থায় যুব সংঘের অন্যান্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান। তবে মারা যাওয়ার আগে তিনি ভাই বেনজীর আহমেদের কাছে সব ঘটনার বিবরণ দেন।

জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নিহতের ভাই বেনজীর আহমেদ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম উল্লেখ করে হত্যা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় দু’টি পৃথক মামলা করেন।

হত্যা ও বোমা অংশের তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন খানজাহান আলী থানার এসআই মো. ফারুকুল ইসলাম।

তিনি একই বছরের ১২ ডিসেম্বর বোমা ও ২০০৬ সালের ৩০ জুন মুঞ্জির মাস্টার হত্যাকান্ডের ঘটনায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, সমাজ বিরোধী কাজের ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি।

অপরদিকে আসামিরা নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকায় হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। এসব কাজের বিরোধীতা করায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে এবং পরে তাকে হত্যা করে। যা এ হত্যা মামলার কয়েকজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে