বাগমারায় খাল থেকে জেলেদের উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২; সময়: ৪:৪১ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় খাল থেকে জেলেদের উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা : উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশ অমান্য করে রাজশাহীর বাগমারায় উত্তর একডালা খালে বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে মৎস্য জীবি জেলেদের উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে এলাকায় গুটি কয়েক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।

ওই ঘটনায় এলাকার মৎস্যজীবি একাধিক জেলের স্বাক্ষরিত অভিযোগ রাজশাহী জেলা প্রশাসকসহ প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছেন।

প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দ্বীপপুর ও বড়বিহানালী ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত বিলসুতি বিল। ওই বিলে মাছ চাষের জন্য ইজারা নেয় একই উপজেলার অমূল্য হালদার, ওয়াজেদ আলী, দুলাহারসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।

বিলে সাধারন কৃষকদের জমি থাকলেও প্রভাবশালীরা জমির মালিকদের বিতাড়িত করে সেখানে মাছ চাষ করে আসছেন। বিলের পানি নিস্কাশনের জন্য ফকিরনী নদী থেকে উত্তর একডালা হয়ে বিলসুতি বিল পর্যন্ত একটি সরকারী খাল রয়েছে। এলাকার মৎস্যজীবি জেলেরা ওই খালে খেয়া জাল ফেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন।

মৎস্যজীবি জেলেদের অভিযোগ, কিছু দিন পূর্বে প্রভাবশালী মৎস্য চাষীরা জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখার জন্য খালে বাঁধ নির্মান করেন। বাঁধ নির্মানের কারনে জেলেরা ওই খালে মাছ শিকার করতে পারে না। মৎস্যজীবি জেলেরা সংগঠিত হয়ে প্রভাবশালীদের বাঁধ সরানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

জেলেদের অভিযোগ পেয়ে উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। সে সময় মৎস্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রভাবশালীদের বাঁধ সরিয়ে ফেলে মৎস্যজীবি জেলেদের মাছ ধরার ব্যবস্থা করেন। তখন থেকেই মৎস্যজীবি জেলেরা পরিবার নিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা পালন করছেন।

গত ২৪ জুন ওই সকল প্রভাবশালীরা আবারো খালে বেড়া নির্মানের মাধ্যমে জেলেদের মাছ শিকার বন্ধ করে দেয়। মাছ শিকার বন্ধ হওয়ায় জেলেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন বলে জানান। তারা অবিলম্বে খালের বাঁধ অপসারনের মাধ্যমে জেলেদের মাছ শিকারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের উবর্ধ মহলের নিকট অনুরোধ জানান।

বড়বিহানালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মিলন জানান, প্রভাবশালীরা মাছ চাষের নামে এলাকার অসহায় জেলেদের খাল থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও খালে বাঁধ নির্মানের কারনে কুচুরি পানা ও বাতরাজে ভরে থাকায় খালের পানি কোন মানুষ ব্যবহার করতে পারছেনা।

এলাকাবাসী অবিলম্বে প্রভাবশালীদের খালের বাঁধ অপসারনের মাধ্যমে জেলেদের মাছ শিকারসহ এলাকার জনসাধারনকে পানি ব্যবহারের সুযোগ দিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রভাবশালী মৎস্য চাষী অমূল্য হালদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি।

অপর দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান বলেন, এই বিষয়ে আমার দপ্তরে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ বা যোগাযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে