নবজাতকে সুস্থ্য রাখতে যা করবেন

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২; সময়: ১:৩৭ অপরাহ্ণ |
নবজাতকে সুস্থ্য রাখতে যা করবেন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জন্মের পর থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত সময়কালকে নবজাতক পিরিয়ড ধরা হয়। এ সময় নবজাতকের নাজুক কোমল শরীর খুব সহজেই বিভিন্ন রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

হাসপাতাল থেকে আসার পর নবজাতকের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

যা করবেন : শিশুর সংস্পর্শে আসার আগে হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। ব্যবহার করতে পারেন জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ। শিশুকে পরিষ্কার করার আগে নিজের হাতটি ধুয়ে তবেই স্পর্শ করুন। হাত ধুয়ে নিন শিশুর ডায়াপার বা প্রস্রাব-পায়খানা করা কাপড়-কাঁথা পাল্টানোর পরও।

নাভি কাটার পর ডাক্তাররা তা ক্ল্যাম্প করে বা পেঁচিয়ে ক্লিপের মতো প্লাস্টিক বা মেটালের কর্ড ক্ল্যাম্প বা টেপ লাগিয়ে দেন। এতে নাভিতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয় আর ইনফেকশনের আশঙ্কা কমে আসে। নাভি শুষ্ক রাখুন। যত বেশি শুষ্ক রাখা যাবে তত দ্রুত নাভি শুকিয়ে ঝরে যাবে। এ জন্য নাভিকে তেল, সাবান, লোশন, পানি থেকে দূরে রাখুন।

কখনো কখনো ডাক্তাররা নাভিতে অ্যালকোহল দিয়ে মুছে দিতে বলেন। একটি তুলোর বলে বা কটনবাডে অ্যালকোহল লাগিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে নাভি পরিষ্কার করুন।

হয়তো সঠিকভাবেই শুকাচ্ছে, তারপরও কখনো কখনো নাভি থেকে বাচ্চার কাপড়ে হলদে দাগ পড়তে পারে। বদলে দিন কাপড় আর ধুয়ে নিন। সাধারণত সাত থেকে চৌদ্দ দিনের মধ্যে নাভি শুকিয়ে আপনা-আপনি ঝরে যায়।

বাচ্চাদের নখ খুব দ্রুত বাড়ে। নখের আঘাতে ত্বকে লাগতে পারে আঁচড়। আঁচড় গভীর হলে ঘা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুন্দর করে কেটে দিন ছোট্ট নখগুলো। শিশু ঘুমিয়ে গেলেই কাটুন, তাহলে নড়াচড়ার বা কেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না। নেইলকাটার যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, ব্যবহারের আগে তা জীবাণুনাশক মেশানো পানিতে একবার ধুয়ে নিন।

বাচ্চার চোখের ময়লা পরিষ্কার করতে কুসুম গরম পানিতে নরম কাপড়ের টুকরো চুবিয়ে নিন। হালকা করে চেপে পানি ঝরিয়ে মুছে নিন বাচ্চার চোখ। অনেক সময় অসাবধানে বাচ্চার চোখে বুকের দুধ যেতে পারে। চোখে বুকের দুধ ঢুকে গেলে বাচ্চার চোখে প্রদাহ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।

কিছু কিছু শিশুর চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। নরম কাপড়ে বারবার মুছে নিন। এ সমস্যা এক বা দুই মাস পর ঠিক হয়ে যায়। বেশি সমস্যা মনে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। দুধ খাওয়ার কারণে শিশুর জিহ্বায় সাদা আস্তর পড়তে দেখা যায়। পরিষ্কার নরম শুকনো কাপড় ব্যবহার করে মুছে দিন।

কান পরিষ্কার রাখা জরুরি। কানের ভেতরে কটনবাডস দিয়ে পরিষ্কার করতে যাবেন না। কানের পর্দায় আঘাত লাগতে পারে। এ ছাড়া কানের ভেতরে কিছু লোম থাকে, যা বাইরের ময়লাকে ঠেলে দেয়। পরিষ্কার রাখুন কানের উপরিভাগ। কটনবল বা নরম কাপড়ে মুছে দিন।

কানের মতো নাকেও কটনবাডস না দিয়ে নরম সুতি কাপড়ে কোনা পেঁচিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এতে শিশুর আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। নাকে সর্দি বা ময়লা জমে বন্ধ হয়ে থাকলে মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় এবং দুধ টানতে চায় না। খেয়াল রাখুন এবং পরিষ্কার রাখুন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে