ভারতে সংক্রমণ বাড়ল ৪৫ শতাংশ

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২; সময়: ২:১০ অপরাহ্ণ |
ভারতে সংক্রমণ বাড়ল ৪৫ শতাংশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে বেশ জোরগতিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় একলাফে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে প্রতিবেশী এই দেশটির দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে মৃত্যু। সোমবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৭৩ জন। রোববার এই সংখ্যাটি ছিল ১১ হাজার ৭৩৯ জন। অর্থাৎ একদিনেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। এ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৪৬ জনে।

অন্যদিকে ভারতে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১ জন। রোববার এই সংখ্যাটি ছিল ২৫। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ২০ জনে।

ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১.২১ শতাংশ। অন্যদিকে এক ধাক্কায় দেশটিতে সংক্রমণের হারও অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৫.৬২ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৩.৩৯ শতাংশ। এছাড়া সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশেই রয়েছে।

এর আগে গত ২৪ জুন ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার পার করেছিল। সেদিন একদিনেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৭ হাজার ৩৩৬ জন, যা চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ। এর পরের দু’দিনে অবশ্য সংক্রমণ কিছুটা কমে আসে। তবে সোমবার তা ফের ১৭ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।

এদিকে রাজ্যভিত্তিক সংক্রমণের দিক দিয়ে ভারতে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। মহারাষ্ট্রের পর সংক্রমণ বেশি তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও তেলেঙ্গনার মতো রাজ্যে।

দিল্লিতেও বেশ কিছুটা বেড়েছে সংক্রমণ। গত একদিনে রাজ্যটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৯১ জন। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায়ও ভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।

অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৩ জন। তবে সংক্রমণে কারোর মৃত্যু হয়নি। অবশ্য ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে