গভীর রাতে রাবির আবাসিক ছাত্রকে বের করে দিল ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২; সময়: ৩:৩১ অপরাহ্ণ |
গভীর রাতে রাবির আবাসিক ছাত্রকে বের করে দিল ছাত্রলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : গভীর রাতে মারধর করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আবদুল লতিফ হলের কক্ষ থেকে এক আবাসিক ছাত্রকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে সেখানে ছাত্রলীগের পছন্দের একজনকে তুলে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রের নাম মুন্না ইসলাম। তিনি ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ওই হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তাঁর আবাসিক কার্ড আছে।

শুক্রবার সকালে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন ওই ছাত্র। তাতে তিনি লিখেছেন, গত পাঁচ মাস ধরে নবাব আবদুল লতিফ হলে অবস্থান করছেন তিনি। এই হলের ২৪৮ নম্বর কক্ষের একজন আবাসিক ছাত্র তিনি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের কয়েকজন অনুসারী নিয়ে ওই কক্ষে গিয়ে তাকে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। নিজের আবাসিক কার্ড দেখিয়ে তিনি বের হতে অপারগতা দেখালে তার বিছানাসহ অন্যান্য জিনিস ফেলে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর তাকে গালিগালাজ ও মারধর করা হয়।

মুন্না ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তাঁর বাবা প্রতিবন্ধী, মা বেঁচে নেই। হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে সব প্রক্রিয়া মেনে তিনি হলে ওঠেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে নিজের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার পর বিষয়টি তিনি হলের প্রাধ্যক্ষকে মুঠোফোনে জানান। প্রাধ্যক্ষ তাঁকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। এভাবে কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া ঘটনায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান।

হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, ওই কক্ষে মূলত আরেকজন আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে থাকার জন্য বলা হয়েছিল মুন্নাকে। কারণ তাদের ওই ছেলেটিকেও মানবিক কারণে হলে সিট দিয়েছেন প্রাধ্যক্ষ।

তিনি বলেন, তার বিছানাপত্র ফেলে দেওয়ার কথা নয়। এমনকি মারধর করার অভিযোগও ভিত্তিহীন। আর রাত দুইটা হবে না। আরও আগে। আর তারা তাকে (মুন্না ইসলাম) বের করে দেননি। তিনি নিজে ওখানে যাননি। তাদের নেতাকর্মীরা গিয়েছিলেন।

নবাব আবদুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ এএইচএম মাহবুবুর রহমান বাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি তিনি রাতেই শুনেছেন। এটি যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের হল থেকেও বহিষ্কার করা হবে। মুন্না ইসলাম ওই কক্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ওই কক্ষেই থাকবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে