সংবিধানে সন্নিবেশিত ৭ মার্চের ভাষণে ১৩৬টি ভুল

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২২; সময়: ২:০৯ অপরাহ্ণ |
সংবিধানে সন্নিবেশিত ৭ মার্চের ভাষণে ১৩৬টি ভুল

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সংবিধানে সন্নিবেশিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ১৩৬টি স্থানে ভুল পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস জানান, আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবিধানে সন্নিবেশিত ভাষণের তৃতীয় লাইনে ‘খুলনা’, পঞ্চম লাইনে ‘তারা অধিকার চায়’ অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এমন ধরনের ১৩৬টি ভুল ধরে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সংবিধানে ভুলভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে ২০২০ সালের ১০ মার্চ একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৭ মার্চের ভাষণের সময় উপস্থিত ব্যক্তিসহ বিশিষ্টজনদের কমিটিতে রাখতে বলা হয়।

এ ছাড়া সংবিধানের পঞ্চম তফশিলে থাকা ভাষণের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সব অডিও-ভিডিও পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সঠিক ভাষণ কেন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না-তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০২০ সালের ৫ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস রিট করেন। রাজবাড়ীর রায়নগর গ্রামের কাশেদ আলীর পক্ষে তিনি রিটটি করেন। রিট আবেদনে সংবিধানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভুলটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

পাশাপাশি সংবিধানে সন্নিবেশিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি বাংলা ও ইংরেজিতে অন্তর্ভুক্তি চাওয়া হয়। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

বাংলা একাডেমির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে (মরহুম) প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপ-মহাপরিচালক আশফাকুর রহমান, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম গোলাম কিবরিয়া ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এসএম হারুন-অর-রশীদ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে