বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন্যায় বাসাবাড়ির রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)আনোয়ার সাদাত বলেছেন, জেলার বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। যেভাবে পানি বাড়ছে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। বন্যাকবলিত অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসবে।
এদিকে সিলেটের জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, লামাকাজী, বিশ্বনাথ এবং ওসমানীনগরসহ সবকটি এলাকায় পানিতে টইটুম্বুর করছে। অনেক জায়গায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার বেশ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।সেইসঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়াতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, জীবনে তারা অনেক বন্যা দেখেছেন। কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার কখনো হননি। পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন তারা।
বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বলে জানিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা রোমান আহমেদ জানান, একদিকে যেমন টানা বৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলে পুরো উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয় নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে সিলেট সিটি করপোরেশনের স্থায়ী বাসিন্দা ওয়াসিম সুমন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই ঘরে বন্যার পানি ঢুকেছে। কিন্তু এখন ঘরে হাঁটুর ওপরে পানি। এই অবস্থায় বউ-বাচ্চা নিয়ে কার শরণাপন্ন হব?
জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আগে থেকেই বন্ধ বলে জানা গেছে। এতে এসব এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়ার জন্য এসব এলাকার লাখো মানুষ আকুতি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।