রাজশাহীতে বেড়েছে কোরবানির পশু

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২; সময়: ৪:২০ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে বেড়েছে কোরবানির পশু

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে এবার চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০ হাজার বেশী কোরবানির পশু পালন হয়েছে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এসব কোরবানীর পশু বেচাকেনা। জুনের শেষে রাজশাহীর পশুহাটগুলো বেচাকেনায় জমে উঠবে। তবে এবার কোরবানীর পশু কিনতে গুনতে হবে বাড়তি দাম।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহী জেলায় ১৬ হাজার ৭৯ জন খামারি ও কৃষকের কাছে আছে এক লাখ ২১ হাজার ৩৭২টি গরু, দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫টি ছাগল, ৩৮ হাজার ২৪৫টি ভেড়া ও তিন হাজার ২১১টি মহিষ আছে।

তথ্যমতে, মোট কোরবানির জন্য পশু পালন হয়েছে তিন লাখ ৯২ হাজার ৮৫২টি। জেলায় এবার কোরবানির জন্য সম্ভাব্য চাহিদা তিন লাখ ৮২ হাজার ১১৮টি। চাহিদার চেয়ে প্রায় ১০ হাজার পশু বেশি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, এবার করোনা না থাকার কারণে কোরবানীর পশুরহাট জমবে। ভাল দামও পাবেন খামারিরা। গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে এবার কোরবানীর পশুর দামও বাড়তে পারে।

তবে সাধারণ খামারিরা পশুর ভাল দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁরা বলছেন, চড়া দামে খাবার কিনে পশু লালন-পালন করতে খরচ বেড়ে গেছে। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মানুষের হাতে এখন টাকা নেই। তাই পশুর দাম নিয়ে শঙ্কা তাদের।

রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছাগল পালন হয়েছে রাজশাহীতে। এই বিভাগে ২৮ লাখ ২২ হাজার ৬৩৯টি কোরবানিযোগ্য ছাগল আছে। ছাগলের সঙ্গে ভেড়ার সংখ্যাও বেশি রাজশাহী বিভাগে। বিভাগের আট জেলায় আছে চার লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭টি ভেড়া।

এছাড়া রাজশাহী বিভাগে আছে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৯টি গরু ও ২১ হাজার ৫২১টি মহিষ আছে রাজশাহীতে। বিভাগের এক লাখ ৩০ হাজার ২৬৫ জন খামারি এসব পশু লালন-পালন করেছেন। এসব পশু দিয়েই রাজশাহী বিভাগে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

রাজশাহীর খামারি সওদাগর এগ্রোর স্বত্বাধিকারী আরাফাত রুবেল বলেন, আগে মাসে তিন হাজার টাকা খরচ করলেই একটা গরু পোষা যেত। এখন গো-খাদ্যের এত দাম যে, মাসে খরচ সাত হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাই কোরবানির বাজারে খামারিরা বেশি দাম চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মানুষের হাতেও টাকা কম। তাই পশুর দাম কেমন উঠবে তা নিয়ে একটা শঙ্কা আছে।

জেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার আখতার হোসেন বলেন, এবার করোনা নেই। আবার গবাদি পশু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে। তাই হাটে দাম বেশি থাকবে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে কত গবাদিপশু আছে তার একটা প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে যে, জেলায় পশুর কোন সংকট নেই। রাজশাহীর পশু দিয়ে এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলাতেও পাঠানো যাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে