স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হলে যা করণীয়

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২; সময়: ২:৩৬ অপরাহ্ণ |
খবর > ধর্ম
স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হলে যা করণীয়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক ভালোবাসা ও মায়া-মমতার উপর প্রতিষ্ঠিত দাম্পত্য জীবন। মহান আল্লাহ তাআলা ভালোবাসা ও সুখ-শান্তিময় এ বন্ধনের কথা তুলে ধরেছেন পবিত্র কোরআনে।

আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি মাটি থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা মানুষ, পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে।

আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।

নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।’ (সুরা রূম : আয়াত ২০-২১)

তবে সংসার জীবনে কোনো স্ত্রী যদি স্বামীর অবাধ্য হয়, তবে সেক্ষেত্রে স্বামীর জন্য রয়েছে বেশ কিছু করণীয়। কুরআনুল কারিমে এ ক্ষেত্রে স্বামীর জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কী সেসব দিকনির্দেশনা?

হ্যাঁ, স্বামীর দায়িত্ব হলো স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা করা। যদি কোনো কারণে স্ত্রী তার স্বামীর অবাধ্য হয় বা তার অধিকার আদায় না করে; বরং উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে যায়; তবে স্বামীর দায়িত্ব হলো তাকে সংশোধনের সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

এই পদক্ষেপ চারভাবে নিতে হবে-

প্রথম পদক্ষেপ : উপদেশ দেয়া

স্ত্রীর অবাধ্যতা দেখলেই কোনো স্বামীরই উচিত নয় যে, তার ব্যাপারে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া। স্ত্রীকে মিষ্টি ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করা কিংবা উপদেশ দেয়ার কথাই কুরআনুল কারিমে ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্যায় আচরণে ছাড় এবং মায়া-মমতার মাধ্যমে যত দূর সম্ভব দাম্পত্য জীবন স্থায়ী করার আপ্রাণ চেষ্টা করা।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ : শয্যা ত্যাগ করা

উপদেশ দেয়ার পরও যদি স্ত্রী তার স্বামীর অবাধ্য থাকে তবে স্ত্রীর সঙ্গে রাগ-অনুরাগ, অভিমান প্রকাশ করার জন্য শয্যাত্যাগ করা। আল্লাহ বলেন, ‘স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও। তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর।’

তৃতীয় পদক্ষেপ : মৃদু প্রহার করা

স্ত্রী যদি উপদেশ ও শয্যা ত্যাগের মাধ্যমে সংশোধন না হয় তবে তাদের প্রহার নির্দেশনা এসেছে কোরআনে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও। তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর। অতঃপর তাদের সামান্য প্রহার কর।’

মুজামে তাবরানিতে এসেছে- ‘এমনভাবে হালকা প্রহার করবে, যাতে শরীরে কোনো যখম বা আঘাত না হয় এবং মুখে ও লজ্জাস্থানে কখনো প্রহার করবে না।’

চতুর্থ পদক্ষেপ : উভয়পক্ষের সালিশ বসানো

উল্লিখিত দুটি উপায়ে গ্রহণ করার পরও যদি কোনো কাজ না হয় তবে ইসলামের নির্দেশনা হলো- উভয় পক্ষ থেকে এক বা একাধিক সালিসের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা।

আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করবে।

তারা উভয়ে মীমাংসা চাইলে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছু অবহিত।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে