গোয়ায় গ্রেপ্তার রোদ্দূর রায়

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২; সময়: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ |
গোয়ায় গ্রেপ্তার রোদ্দূর রায়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কটু মন্তব্য করেছিলেন ইউটিউবার রোদ্দূর রায়। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত শনিবার রোদ্দূরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তার সঙ্গে ভারতের একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায় ওরফে ‘কিউ’ ফেসবুকে রোদ্দূরের গ্রেফতার হওয়ার খবরটি প্রথম জানান।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার ইউটিউবার রোদ্দূরের বিরুদ্ধে আবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ, তিনি নেটমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর মন্তব্য’ করেছেন।

নিজেকে তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিৎপুর থানায় রোদ্দূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ঋজু দত্ত। তিনি রোদ্দূরের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানান।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে রোদ্দূর বলেন, এফআইআর দায়ের হয়েছে সেটা শুনেছি। এখনই কোনো প্রতিক্রিয়া দেব না।

তখন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত নেটমাধ্যমে নীরবই ছিলেন রোদ্দূর। তবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি তার ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। ৩৭ মিনিটের সেই লাইভে তিনি বলেছেন, দুবছর আগে তিনি একটি কেস খেয়েছিলেন। সেই লাইভে তিনি মমতার লেখা কবিতা নিয়েও বক্রোক্তি করেছেন।

তারও আগে রোদ্দূর একের পর এক ফেসবুক স্টেটাস দিয়েছেন। যেখানে লেখা, কেস দাও মোরে কেস দজাও আরও, বন্ধ রাখিও কারাগারে’, ‘পুলিশও হাসিছে মোক্সা ক্যাওড়া দেখিছে থানায় বসি, গাঁজার গোলাপ বানায়েছে তারা ফেলিয়া কড়া ও রশি’।

তৃণমূলের মুখপাত্র ঋজুর অভিযোগ, রোদ্দূর সাম্প্রতিককালে নেটমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও অভিষেক সম্পর্কে কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ কলকাতা ও রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনকেও।

যে বিষয়টি নিয়ে রোদ্দূরের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিকতম অভিযোগ, সেটি তিনি করেছিলেন একটি ফেসবুক লাইভে। গায়ক রূপঙ্কর বাগচি এবং অকালপ্রয়াত গায়ক কেকে সংক্রান্ত বিতর্ক এবং বিতন্ডার প্রেক্ষিতে। কয়েক মিনিটের ঐ ফেসবুক লাইভে রোদ্দূর মুখ্যমন্ত্রী মমতা সম্পর্কে বাজারচলতি কিছু অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ।

তৃণমূল মুখপাত্র ঋজুর অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, রোদ্দূর নিয়মিতভাবে এ কাজ করে থাকেন। আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে তিনি রাজ্যকেও অপমান করেন। নেটমাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানোর দায়ে তার বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ চেয়ে পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন অভিযোগকারী।

এর আগেও রোদ্দূরের বিরুদ্ধে লালবাজার-সহ বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেবারও তার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ ছিল। শনিবার আবার একই অভিযোগে নতুন করে পুলিশের কাছে এফআইআর হল রোদ্দূরের বিরুদ্ধে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে