কচুয়ায় ড্রাগন ফলে নতুন স্বপ্ন বুনছেন কৃষক মিজানুর

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২২; সময়: ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ |
কচুয়ায় ড্রাগন ফলে নতুন স্বপ্ন বুনছেন কৃষক মিজানুর

মো: মাসুদ রানা, কচুয়া : সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এই আমাদের গ্রাম-বাংলা। এ বাংলার মাটিতে মিশে রয়েছে কৃষকদের জীবন। ফলানো হচ্ছে নানা ধরনের ফসল। পূরণ হচ্ছে মৌলিক চাহিদা।

এসব কৃষকের মধ্যে মিজানুর রহমান-ও একজন। তিনি বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি নতুনভাবে চাষ করেছেন ড্রাগন। ইতোমধ্যে তার সবুজ মাঠে উঁকি দিচ্ছে হরেক রঙের এই ফল। এ থেকে দিনবদলের স্বপ্ন বুনছেন তিনি। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামে দেখা যায় ড্রাগন ফুল-ফলের সমাহার। এই ক্ষেত পরিচর্যা করাসহ ফল সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন কৃষক মিজানুর রহমান।

জানা যায়, ওই উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের অধিবাসী কৃষক মিজানুর রহমান,আবু তাহের ও আবুল কালামসহ পাঁচ ভাইয়ের সহযোগিতায় এ ড্রাগন ফলেল চাষাবাদ করা হয়েছে। ড্রাগন ফলের বাগানটি দেখাশুনা ও পরিচর্চা করছেন কৃষক মিজানুর রহমান ও আবু তাহের। কৃষি পরিবারই তাদের জন্ম। তাই কৃষি কাজই নেশা ও পেশা। যুগ যুগ ধরে নানা ফসল উৎপাদনে সাংসারিক চাহিতা পূরণ করে চলছেন তারা। এরই মধ্যে অধিক লাভের আশায় এক বছর আগে আবাদ করেছে দেশী-বিদেশী জাতের ড্রাগন। চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এই চারাগুলো সংগ্রহ করা হয়। তাদের নিজস্ব ৬০ শতক জমিতে ৩ হাজার ড্রাগন চারা রোপন করেছেন। ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভালো ফলনে বাজারে চাহিদা ও দাম পেলে অনায়াসে লাভবান হবেন এই কৃষক মিজানুর রহমান। প্রতিদিন এই বাগানে ৩-৪জন শ্রমিক কাজ করছেন।

কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, উঁচু ও মাঝারি উঁচু উর্বর জমিতে ড্রাগন চাষাবাদ উপযোগি। মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত ড্রাগন ফলের কাটিং চারা রোপন করতে হয়। এ সময় থেকে এক-দেড় বছরের মধ্যে ফল আসা শুরু করে। এই আবাদে সেচ-সার-কীটনাশক প্রয়োগ করাসহ পরিচর্যা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

কৃষক মিজানুর রহমান জানান, প্রথামিকভাবে ৬০ শতক জমিতে ড্রাগন চাষ করেছেন। এতে ড্রাগন ফল রোপন ও পরিচর্চা করতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। ইতোমধ্যে ফল ধরা শুরু হয়েছে। ড্রাগন ফলটি টানা ২০ বছর ফল সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এই চাষাবাদ বেশ লাভজনক। ভালো ফলন পেলে আগামী বছরে আরও এক বিঘা জমিতে নতুন করে চারা রোপন করা হবে।

কচুয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমল সরকার জানান, ড্রাগন চাষ অত্যান্ত লাভজনক। পরিকল্পিতভাবে যে কেউ আবাদ করলে অনায়াসে লাভবান হবেন। সেই সঙ্গে কৃষক মিজানুর রহমানকে লাভবান করতে সর্বাত্নক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি ড্রাগন ফল চাষে কোনো কৃষক রোপনে আগ্রহী হতে চাইলে কৃষি অফিষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে