মান্দায় কোরবানির আগেই বাড়ছে মসলার দাম

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২; সময়: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ |
মান্দায় কোরবানির আগেই বাড়ছে মসলার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা : নওগাঁর মান্দায় থামছেই না দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া। ধান ও চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী হলেও ভোজ্যতেলের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। লাগামহীন মাছ, মাংস, আলুসহ সবজির বাজার। এসব নিত্যপণ্যের পাশাপাশি কোরবানির আগেই হুহু করে বাড়ছে সবধরণের মসলার দাম।

ভোক্তারা বলছেন, রোজার ঈদের পরও সবধরণের মসলার বাজার স্থিতিশীল ছিল। গত দু’সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি জিরাতে বেড়েছে ১০০ টাকা, দানচিনিতে ১০০ টাকা। একই সঙ্গে প্রতিকেজি সাদা এলাচে ১০০০ টাকা, কালো এলাচে ৪৫০ টাকা, লং এ ৪০০ বেড়েছে।

এছাড়া পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও প্রতিমণ রসুনে বেড়েছে ১৫০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিকেজি খোলা লবন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ২২ টাকা কেজি দরে। শুকনো মরিচের কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিত্যপণ্যের সবধরণের মালামালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসলার দাম। হঠাৎ করে বাজার বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও বেকাদায় পড়েছেন। এসব পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়ছেন তাঁরা।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে মসলা বেচাকেনার এ চিত্র দেখা গেছে। উপজেলার চককানু গ্রামের এনামুল হক জানান, কয়েকদিন আগেও ভাল মানের ১০০ গ্রাম জিরা ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাত্র দুসপ্তাহের ব্যবধানে সেই ১০০ গ্রাম জিরা কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এতে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা। তিনি আরও বলেন, ১০০ গ্রাম ছোটএলাচ ২৭০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় কেনা হলেও বর্তমানে ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

ভোক্তা শাহজাহান আলী বলেন, বাজারে সবধরণের নিত্যপণ্যেওর দাম আকাশছোঁয়া। ধান ও চালের বাজার একটু কমলেও গমের বাজার অনেক চড়া। দেশে উৎপাদিত লবনের দাম হঠাৎ করেই কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। এখন আবার মসলার বাজারেও আগুন ধরেছে। এতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চবিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, বাজারে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো আদায় করছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। বাজার মনিটরিং না থাকায় বেশি দামে পণ্য কিনে হরহামেশাই ঠকছেন ক্রেতারা।

এই চাকরিজীবী আরও বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও আয় বাড়েনি। তাই অনেক হিসেব নিকেষ করেই চলতে হচ্ছে। আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিমাণে কম পণ্য কিনে ব্যালান্স করতে হচ্ছে তাঁকে।

সচেতন মহলের অভিমত, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেণ গ্রহণ করছেন। কিন্তু কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। প্রত্যেকটি দোকানে দ্রব্যমূল্যের বিক্রির তালিকা টাঙাতে হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে পাইকারি বাজার মূল্য। এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে